একটি লোক আমার সংবাদ প্রেরণের পর,
তৎক্ষণাৎ দেখে নেয়!
আত্মপর স্মৃতিবিচ্ছিন্নতা,
অনিশ্চয়তা এ ধারানিবদ্ধ কলঙ্কের জীবনে—
প্রাত্যহিক সংলাপ যেন—
নৈসগির্ক প্রয়াণ পরে,
নীতিহীন হিমের মতো!
একটা একটা কৃপন বাক্য যেন—
মূর্তপ্রাণ আরতির
সম বিন্যাসে, খোঁয়াড়ির দীর্ঘ অভিজ্ঞাণ সয়!
অবিরল কালিমার মূর্ত আর্তনাদে,
তবুও তীরে তীর মিশে গেলে সংহত কথারা—
অনুপুঙ্খ রূপ নেয়।
অবিশ্রাম অনায়াস ভঙ্গিমায়,
কফিনের
দৃষ্টিপথে ফেরানো মুখেরা,
নিঃসঙ্গ এ জীবন থেকে—
কালান্তের নির্জনতায় ওড়ে না কখনও,
চড়াইয়ের মতো মৃদু আধিপত্যে কবরের পিঠে গড়ে ওঠা স্বচ্ছ পার্ক—
অগণন মৃত্যুর পর
আত্মার
স্থবিরতা চেনায়! হয়তো একদিন
আকস্মিক ঘুমের ঘোরে,
অনন্ত আহ্বানে,
জটিল অনুশাসনে
আত্মিক সচেতনার উচ্চারিত নিনাদ প্রণম্য স্বপ্নের ঘ্রাণে—
বিকীর্ণ বাতাস মেখে পৌঁছেছে কবেই!
সেই চিরযুগ তন্ময়তার আদিগন্ত
ঘনসবুজের দেশে।।