তোমারে কারা পিটিয় মারল সফদর হাশমি?
মৃত্যু শিখায় করোনি যে ভয় তাইতো তোমারে নমি!
জাগে প্রতিবাদ লেলিন গ্রাদে দিকে দিকে আজ জাগে,
তবে সম্রাট চায় রক্ত শাসণ
রাঙা অরুণের রাগে;
জানি তুমি যে ছিলে মানবতাবাদি এই তব অপরাধ!
তোমার জন্য ফাঁসির মঞ্চ তোমার জন্য গরাদ,
দেখো পুঁজির তন্ত্রে   আমেরিকা সুর ভোগবাদি সন্ধ্যায়—
তোমার আঁখির মাঝে রঙিন ভুবন মৃত্যু নিশানে ঘনায়!
শোনও তোমরা যাহারা রক্ত পিশাচ কাড়লে হাশমি প্রাণ,
বব ডিলান আর পিট সিগারের শুনেছ প্রগতি গান?
তোমরা যে আজ পাশবিক পশু
তোমরা যে নও মানুষ!
চোখ সে ফেরাও শিশুর নয়নে রেখো বেদনার হুঁশ,
জেনো হাশমিরা সব একা নয় আজ আমরাও সব আছি,
রক্ত গোলাপে প্রাণের কল্পে
মৃত্যু মরণে বাঁচি!
ওরে সব আজ
ঝান্ডাপুরের মাটিতে নিশান
রক্তে হাল্লাবোল,
দেখো উঠেছে যে আজ
হৃদয়ে তন্ত্রে অরুণ মন্ত্রে নতূন এক শোরগোল!
দেখ সেই কুরুণায় সূর্যের বাণী তমসা রাত্রি হানে—
রাখি চোখে চোখ দৃপ্ত কন্ঠে বিপ্লব মহাবাণে;
তাই দ্যাখো আজ নয়ন সুধায় জ্বলিছে আগুন স্নিগ্ধ বসুধা মাঝে,
প্রাণপাখি আজ জীবন তৃষায় প্রাণ খানি আজ যাঁচে!
কালের নিয়মে আর্ত যে প্রাণ নূতন করুণা ধারা
বেদনায় আজ তোমার স্মরণে দশ দিক দেয় সাড়া!
হাশমি তোমার লড়াই ব্যর্থ যে নয় দ্যাখো আজ মম প্রাণ,
সেথায় বক্ষে নব সে লক্ষ্যে জাগে বেদনার গান!
দিগন্ত জুড়ে সন্ধ্যা কালেই ঘনাল তোমার যে বিরাট নাম!
তোমার চরণে বিদায় ধ্বনিতে রাখা থাক মম প্রণাম;
দেখছি যে আজ প্রাণের হরনে নেই কোথা লজ্জা,
সর্ব হৃদেই তাই অন্তিম গান নব রূপ সজ্জা।।