কোথাও বাঁচার রাস্তা নেই,
করুণ বাতাবির মোহবন্ধন লেগে আছে সর্বাঙ্গে!
নেই কোনও অবাধ্য ত্রুটির আঙিনায়,
অস্ফূট আস্ফালন
প্রবাহিত শিউলির নিরুত্তম গন্ধে—
মাতোয়ারা মন!
তখন অস্পৃশ্য পৃথিবীর—
বর্ণগন্ধে অজর অস্ফূট অক্ষর!
আকাশ প্রদীপসম অসঙ্গত কলঙ্ক নিশ্চিহ্ন মোহে,
ক্ষণকাল দিব্য স্বপ্নের প্রস্থান।
আচ্ছা এই মৃত্যুও তো একদিন ভুবন পারের
স্তিমিত সন্ধ্যায় গান হতে পারত!
হতে পারত চ্ছিন্ন ভিন্ন ঘৃণায় আকাশলীন
মোৎস্টার্ট বেটোফেনি সুর,
কালের বৈতরণী বেয়ে ধাবমান বিদীর্ণ আক্ষেপ,
চৌদিক চিকচিক ধুধু বালুরাশি—
বলয়ের বলয়ে ঋদ্ধতায় বিদ্ধ বহুদূর!
বিগত অগণন সভ্যতার সেইখানে জন্মের স্বাগত শ্বাস,
অষ্টাঙ্গিক উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বাসে জয়গান রিক্ত প্রতিভাষ!
জলসন্ধির হাজার জনতার সম্বলিত ভিড়,
সভ্যতার সমপ্রস্থ নভঃনীড়—
আজও আছে তার দেহগত ক্ষয়,
রাত্রির প্রথম বিমুগ্ধ আলিঙ্গনে অম্লাণ অস্থির!
অসীম অন্ধকারের দুঃসহ স্থৈর্য্যে
স্বার্থক জন্মের মতো কোনও পন্থা নেই,
নেই কোনও নিষ্প্রভ অন্তিম অভিজ্ঞাণ!
তাই মধুময় যৌবনকালে বিবর্ণ সঙ্গিনীর মতো,
পন্থাহীন নূতন মাধুর্যতায় আকাশের রক্তিম উচ্বাস!
নেই কোথাও বাঁচার পন্থাও
কোনও সংগ্রামেই নেই তাই।।