ফিরে দেখতে কি চাও ফিরে আসবে কি তুমি,
অসংঞ্জাতের পথ ধরে নেয় এলায়িত বনভূমি—
দূর দিগন্তের ক্লান্ত রেখায় ওই নীলাম্বরের ছায়া,
নিভৃত নবিন হৃদয় বক্ষে অমলিন কোন কায়া!
আউশের ধানের ভেজা অঘ্রাণে হাজার জনম খেত,
জমির সীমানা ভেঙে দেয় আল আজও তাই জমায়েত;
দ্যাখো সে চেয়ে অক্টোবরের হৃদয় খুঁড়েই আউশের দিন আঁকা,
মৃত যবনিকা বুঝি ধূলোয় মিশলে বক্ষেতে হাত রাখা!
দ্যাখো গ্রামান্তের পথ ধরে বয় হাজার কালের ঢেউ,
বলোও মিছে আঙিনার ব্যস্ত নয়নে প্রহর কি গোনে কেউ!
এসো এসো আজ অনু বিন্ধুতে সেই ব্যাথার সীমায় গড়ি,
উর্মিমালার বিরস দিনেতে কতো মণি কাঞ্চণ ভরি,
তন্দ্রালসা সে সন্ধ্যা নামিছে আবেগ ঘন সে রাতে,
নিঃশব্দের গান বনবাসী হিয়া জ্বালায় প্রভাত প্রাতে!
একলা সে ভীষণ শান্ত মননে হোমের দাবানল,
স্বপন পিয়াসীর ডাক শোনে হিয়া কেমনে রাখবি বল!
মৃত ম্যাগনোলিয়া কি গোলাপকে চেনে রক্ত যেখানে স্বর,
ছিন্ন হৃদয়ের ভ্রান্ত সে ক্ষণে ফুটে ওঠে অক্ষর!
একাকাশ মেশা মধ্য সে নীলে কারা নেয় দীক্ষা,
সংহত হিয়ার বিদ্যুৎ বানে তবে আজ কেন মরিয়া!
আবেগঘন সে বাস্প দিনে সূর্য ভানু সে গতি,
কার ত্বরে আজ দিগন্তে অতল রক্ত প্লাবণ মতি;
নাকি সম্পাত আবিষ্ট চেতনে আবেগ ঢালিয়া চলে,
নীল নীলিমার স্বচ্ছ স্ফটিকে আশার কিরণ জ্বলে!
দুঃখ শহরে বেদনার সুরে কারই বা হয়েছে হিত?
দুমুঠো চালের গল্প টা বলে আজও কোন সঙ্গীত।।