শব্দেরা টেনে নিয়ে গেছে আমায়—
অচল এক বিরতির থেকে!
নিঃসঙ্গ জ্যোৎস্নায়,
নিশ্চল নিয়তির দিকে;
বন্ধু!
আজও হায় সে কোন অমূল্য সম্পদ—
পৃথিবীর মূল্যায়নের দীর্ঘ অভাবে?
কালের অমোঘ নয়নে স্বেচ্ছাচারী পল্লব—
কেঁদে উঠে ম্লাণ এক অন্তিম উপনয়নের মতো কয়,
একবার সে অন্তর্গত বিশ্বাস ভেঙেছিলাম তোমার!
কোনও দিন কোনও খানে হবে নাকো আর,
আজও সেই এক নিভৃত ক্ষনে!
রক্তের আশ্চর্য আবিলতায়
সবটুকু উষ্ণতা ছোঁয়,
সমুন্নত মানবিক তৃষায়!
বাতাসের অসীম নৈঃশব্দের কুহুতানে—
এখনও প্রারম্ভিক শব্দের গান!
নিস্তরঙ্গ প্রাচীন এক জ্যোৎস্নায়—
অসীম দুঃসহ অগ্নিকুন্ডে,
ঝাপসা আগুনের মতো!
নিসর্গের থেকে জেগে ওঠে,
আমারে জাগায়;
সেখানে–
অজস্র মৃত্যুর অভিশাপে রাতের আহ্বান,
অন্তিম আকাশ তখনও সদ্যস্নাত
শব্দের কোলাহলে,
একক পৃথিবীর কাছে অঙ্গীভূত গান,
আজও স্মিত এক নবিন সৌরভে–
চুপিসারে স্বপ্নের কথা বলে!
তারা বন্ধুতা হীন–
শূন্যতার পেলব এক শবদাহনে!
সেসব শুনে নিতে চাই,
ঠিক সেই কথা;
হৃদয়ের সঙ্গমহীন মর্মধ্বনি মাঝে,
আজও তাদের জাগিয়াছে তাই!
হতোদ্যম নগন্য এক নগরীর ভাল মন্দে—
মূর্তপ্রাণ অনন্য বিস্ময়।।