ছদ্মবেশী বিষণ্ণতা দরজা ঠেলিস কে?
আসার আগেই ও পথ ধরে পালিয়ে গেলি যে!
তুইতো ভারি চপল ভীষণ,
ঐ ছেলেটার নয়ন রতণ;
ছেলেটা না হয় রইল শিশু চিনতে পারলি নে!
কোথায় রে তুই আসার আগেই পালিয়ে গেলি যে।
কেবা দেবে তোর আজকে অমোঘ রতণ দাম,
ঢুকতে যদি নাই পেলি আজ দোর গোঁড়াতে থাম!
দরজাটা তো খোলাই ছিল,
মন বিহনের আগল দিল;
চপল হৃদয় রইল মেতে নয়ন অবিরাম!
স্নিগ্ধ হাওয়ায় বুঝলি না রে কেউ দেবে না দাম।
বিষণ্ণতা তুই না সেদিনও একলা ছিলিস,
রাখলি যে তুই চপল হাওয়ার কোল বালিস!
হৃদয় পুরের মিঠে হাওয়া—
সেই গহনেই আসা যাওয়া,
ভুবন পারের সন্ধ্যা রাতে সপ্ত রঙেই মিলিস!
তুই না সেদিন হাওয়ার স্রোতে একলাই তো ছিলিস।
বিষণ্ণতা চোখ খুলে দ্যাখ যাওয়ার হল কাল,
মুছে দিস তুই ফুলেল হাওয়ায় আহত এক সকাল!
তুইতো আজ সবই জানিস,
ঋদ্ধ হিয়ায় তাও কি মানিস?
ডুবল বোধহয় সোহাগ নিশির ভব তরীর হাল,
হৃদয় অরুণ যন্ত্রনাতে বিদায় বেলার কাল।।