রাতের সমাবৃত অন্ধকারের তীরে–
অনিন্দ্য সুন্দর মহিমায়!
স্বপ্নের ভেতর থেকে জেগে উঠে–
একটি কবিতা আমায় জাগায়,
কেমন হত্যোদম ক্লান্ত নাবিকের মতো,
স্বপ্নের জ্যোতি তার আটলান্টিক ক্ষতে–
বিবর্ণ অক্ষরে অক্ষরে কালোদ্গীর্ণ প্রণয়ের
ধূসর উল্লাসে!

এখন অজস্র অন্ধকার ব্যক্তিগত তমসার,
স্থির স্নিগ্ধ ভষ্মে জেগে উঠে
তুমিও দেখেছো,
কি ভীষণ কান্না–
আদিম হিংস্র কঙ্কালে ডোবে!
এ শতকের মাতৃহন্তা রূপ–
হিম স্নিগ্ধ জ্যোতি শিখায়!
নরকের আবিল উত্থান,
তবুও ক্ষনিকের সগর্ব নিয়মে!
ভাষাহীন প্রাণ পেতে চায় যেন;
এইসব টাইটানিক অভিসার–
সময়ের অবিন্যস্ত গরিমা !
আরও আরও সুন্দর স্বপ্নের তীরে,
আর্তস্বর কোকিলের আহত ডানায়!
এইভাবেই ডুবে যেতে চাই;
এইভাবেই ক্লান্ত হয়,
আরও সব কিছু–
যদিও কালের গর্ভ হতে
জেগে উঠে চিনে নিই স্বপ্নের দীর্ঘ কালিমা।

প্রশান্তির অতলান্ত হতে পাইয়াছি টের!
গাছেদের শুষ্ক উল্লাস,
করুন এক নিষ্প্রভ বিকেলের মতো–
শূন্য হয়ে যায়!

অজস্র হিয়ার তলে–
তবু আমি  রেখে আসি স্বপ্নময় সময়ের বন্ধন!
তবুও রেখে আসি!
অবিরাম নিঃসঙ্গ চিত্রকল্পে,
স্বপ্নের সমৃদ্ধ মহিমায়–
সমকালীন রক্ত স্মিত কল্লোলে,
ঢেউয়ের তালে–
দেহের অবিরাম নির্বাক আলাপে।।