আজ সারারাত ধরে কবিতা লিখব আমি,
এই মিঠে জ্যোৎস্নার মদির গন্ধে–
বারণ করবার কেউ নেই!
এখানে স্বপ্নের মতো ফুলেদের
সুমিষ্ট দেহত্বকে খেলা করে,
এখন ক্লান্ত ভীষণ –
দীঘল নেত্রে অন্তিম সমাবর্তন,
কোনও এক ভেষজ উপায়ে–
তবু আমি আবক্ষ!
এই জ্যোৎস্নার রঙ দেখে নিয়ে
প্রাণতীর্থে আড্ডা জমায় —
পরের প্রভাতে,
ভোরের অন্তিম কল্লোলে,
তবুও কি নিরুত্তর রবে ক্ষণকাল?
নিরুজ্জ্বল দীনের শেষে সমাগত পথিক
রাত্রির অন্তিম কিনারা বেয়ে,
ফিরে আসে নব চেতনায় নিজ গৃহে,
যেথায় নিত্য অধিষ্ঠাত্রী হিমাংশুর মাঝে—
অবিরল উৎসারিত কলোরোলে হেমাগ্নির বাস,
সেথায় হেমাঙ্গ জ্যোৎস্নার তীরে
উৎসারিত আলো!
ঢেউয়ের প্রান্ত ছুঁয়ে,
তরঙ্গ নীল প্রতিশোধে,
বোধহয় ফিরে আসা ভাল!
তবু ফিরিরার দিন নাহি,
নেই কোনও পথ!
ভগ্ন দেহ কায়া মাঝে বিমূর্চ্ছিত রথ–
নিরুচ্চারিত শবের গভীরে,
কে আর ফিরাইবে বলো মোরে?
দেহলীন অবক্ষয়ে মরেছি যে আমি!
ফিরাইতে চাহে আর কেহ?
ফিরবার প্রয়োজন জৈনে নিয়ে
না হোক ফেরা তবে–
ভস্মসার অঙ্গারে কালের অন্তিম শবে!
সেই হোক একমাত্র পরিচয়,
জয় তব জয়।।