এমন একটা বুক যেন আমার থাকে,
পৃথিবীর সমস্ত মানুষের ঘুমনোর মতো একটি বুক!
সমস্ত দুঃখে রাগে অভিমানে তাদের নিশ্চিত আশ্রয় দেওয়ার জন্য থাক। সেই বুক আমাদেরও চাই,
আশ্বিনের সেইসব আশ্চর্য আকাশ
অমেয় শৈল্পিক দক্ষতায় সেই মায়ালোক!
সেইসব শিহরণ।
নিষ্প্রাণ নিষকলঙ্ক রাতের ঘুমে,
চাঁদের পরাধীন আলোয়!
পৃথিবীর সমস্ত প্রাচীন সম্রাট এই বুক খুঁজে পেতে চায়,
আজও!
দীর্ঘ অবিরল রাতের কিনারায়,
শান্ত হিম জ্যোতিষ্কের মাঝে পৃথিবীর বরেন্য আঁধার!
কতোদিন গাঢ় কালিমার সাথে,
মিলনের সম্ভোগ বীণার মতো লিপ্ত হয়?
চিত্তময় নব যৌবন খেলার অন্তিম নিরুদ্দেশে।
এখানে মোহন বাঁশির সুরে শরৎের বিস্তীর্ণ প্রান্তর—
রৌপ্যজ্জ্বল জ্যোৎস্নার তন্ময়তায় জাগে!
জাগে প্রাণ!
প্রত্যহ অনিবার্য শিহরণ,
শতাব্দীর প্রাচীন আঁধার অর্ধমৃত অনঙ্গের শবে।।
দীর্ঘ দীর্ঘ রাতের শব্দহীন মায়াময় কবরে–
পৃথিবীর সমস্ত অবিচল অনুসন্ধিৎসু চোখ মেলে নির্বোধ প্রেমিক সত্তা যত–
মায়ালীন অন্ধকারে চায়;
ধরনীর এমন আবক্ষ হিম শীতলতার সকল পথশ্রমে,
পেলব শান্ত সুন্দর সমাহিত গাম্ভির্য্যের সেই বুক!
আজন্ম মৃত কুয়াশার অসীম নিঃস্বতায়,
নিষ্প্রাণ ঘুমের মতোই।।