অজস্র মৃত্যুর পর,
তুমি আরেকবার জন্ম নাও হে সুভাষ!
জন্ম জন্মান্তরের রক্তিম পথে,
আজকের হিরণ্য মেঘমালায়–
এক অনুপম
জন্মলাভের ভীষণ প্রয়োজন তোমার!
হে নেতাজী–
তোমার আগমনীর পথ ধরে,
বিস্মৃত এ নৈব্যক্তিক রক্তের ইতিহাস!
সেইখানে আত্মসুখ নতজানু হয়ে মুছে নেবে,
আজি তার ক্ষনলীন হিরণ্য কালিমা;
মুছে নেবে–
পীড়নের প্রত্যেক প্রতিবাদ!
অগণন স্বপ্ন গর্ভ সময়ে তীরে–
মর্যাদার আপ্তবাক্য চিনে নিও তুমি!
হতাশার হতোদ্যম ক্লান্ত গরিমায়–
হিমাদ্রির হেমকান্তি,
জ্যোৎস্নার অরুণিম অপার্থিব সৌন্দর্যে–
সকল দূরাগত রাত্রির অমলিন জ্যোতিচিহ্নে!
প্রতিভাত হোক–
তোমার নব জন্মের স্বপ্নিল সেইসব বিভা।
এ অনর্থক অন্ধকারের পথরেখায়–
আমৃত্যু নীতিহীন দেশে,
অজস্র হিমেল আবেশ জানি না কেন?
কোন দূর দিগন্তে রঙহীন সেই শিশিরের মতো নামে!
নক্ষত্রের অসংগত গল্প গুলো,
প্রেমলীন দিগন্ত রেখায় ঝলসে ওঠে–
ঠিক সেইখানে।
সেইখানে রঙিন এক স্বপ্নের দেশ,
তোমার অশ্রু সঞ্জাত নয়নে দেখো হে নেতাজী–
পুঁজি আর বৈভবের স্বঘন গনতন্ত্র সব!
হিপোক্রিট সাম্রাজ্যের মেঘে মেঘে,
আশ্চর্য রক্তিম শিখায়–
তব জন্মের আগ্নেয় দাগ,
বলো রাখবে না তুমি!
হে নেতাজী–
রেখে যেও সকরুণ আর্তনাদে
তোমার নব উন্মেষ সব!
এইখানে
প্রদীপের অমোঘ আলোয়–
সেইসব পাষাণী হৃদয়ের তীরে,
নিঃসঙ্গ স্বপ্নের এমনই মেঘলীন জ্যোৎস্নায়–
এ অতল রাত্রির শেষতম স্মৃতিচিহ্ন!
রেখে যেও হে নেতাজী।
রেখে যেও শেষটায়।।