ঐ কবি ঐ— এদিকে এসো,
তোমারে না বসতে বলেছি!
চুপটি করে বসো,
অজস্র চোখের কুলঙ্গিতে জমে থাক কলঙ্কের জল—
সুনিপুন স্বাগতমে হিম বাষ্প নিষ্ফল!
কি বললে বসবে না?  
বসবে না মানে–
মানুষ এ মৃত্যুর তীরে,
অনিন্দ্য শূন্যগর্ভে–
আজি তার জলজ্যান্ত প্রমাণ!
এখানে
কি বললে
চিনবে না জন্মের স্বাদ?
চিনবে না স্বপ্নের হরি খেলা!
স্বাধীন এক আহত মৃত্যুর মতো এইবেলা—
অজ্ঞানে অমলিন প্রসারণে,
দুর্জয় স্বপ্নের দেশে,
সুনিপুন স্বপ্ন ঘুমে–
আজও হায় তন্নি বালা কে সে?
নিয়ত স্বপ্নের রেখায়–
গভীর ঘুমের তলে,
যেমত আচ্ছন্ন হয়!
আজই হোক তার অন্তিম দিন—
উচ্ছ্বল জয়গানে
জয়গানে প্রাণ চঞ্চল ঋধিমায়!
আজও অন্তহীন।

ঐ কবি শোনও এদিকে–
তুমি না প্রাণময় জীবনের কবি!
ঘননীল অন্ধকারে ধূসর চেতনায়–
নির্নিমেষ জ্বলে ওঠো!
হে আদিপ্রাণ মণি কাঞ্চণ রবি,
স্বপ্নিল রাতের আঙিনায়!
স্নেহময় সমুজ্জ্বল সময়ের তীরে,
পরম ব্রহ্মের মতো নভঃনীড়ে–
এ অপূর্ব আশ্চর্য রাতের গরিমায়,
তুমি প্রকাশ্যেই
অন্তিম নিরুত্তর রয়োও ততখানি–
ঠিক ততখানিই
যতখানি হওয়া যায়,
হওয়া সমুচিত তত্ত্বের ভারে–
বাক্যস্থিত মণিকায়।

হে কবি–
উচিত বাক্যে বাক্যে,
তুমিই হয়ো মূর্ত আলিঙ্গনময়!
কেবল তুমিই হয়ো,
একমাত্র তুমিই।।