আশ্বিনের মিঠে এক রোদের ঢেউয়ে,
তোমায় স্পষ্ট করে আর বলা হল না
বলা হয় নি হাওয়ার মিঠে সংলাপ!
সূর্যের প্রারম্ভিক গান,
তাও কেন যে এতো স্বপ্নময় চারপাশ–
রৌদ্রের অমিত স্লোগান!
বিতৃষ্ণায় মহা সিন্ধুর জলে,
মহাকালের আশ্চর্য নেশায়–
প্রতিদিন আজও হায় রক্ত ক্লান্ত ছায়া ফেলে!
নব উন্মেষে আশ্চর্য বিম্বের মতো
ছায়া ফেলে,
একমুঠো চাঁদের জ্যোৎস্নায় স্বপ্ন মহিমা–
নব রূপ অভীপ্সা ভুলে গিয়ে,
আজও হায় কল্লোল তোলে!
এখন কল্লোলে ঢেউয়ের ভেতর,
কবে কোন যুগ অযুত শস্য–
ঈষৎ প্রতিবিম্বে জেগে যায়,
জেগে উঠে!
এ পৃথিবীর জনাকীর্ণ প্রান্তরে,
আজও তার স্বপ্ন সাজায়!
আরক্তিম বুকের তলে;
তবে আজ কতযুগ
কার অন্তিম বেদনা নিয়ে
সেইসব রক্তের অনুরাগ,
রয়েছে দাঁড়ায়!

হে নিঃসঙ্গ ধরণী–
আজি মোর অগণন নমস্কার জানি–
এ অন্তিম চির বিদায়ের কালে,
বেদনার আঁজলি ভরা থাক,
পূন্য পীত সললিলের জলে!
আজ তার শরীরের শব্দের মতো
অসম্ভব শ্বদন্ত ঘ্রাণ,
জাগতিক যুপকাষ্ঠে ফুটে উঠুক অম্লান,
লেখা হোক প্রেমের সকরুণ মর্মান্তিক বাণী—
অর্ধমৃত সত্যের মতো !
ফের একবার বুঝে নিক এ আকাশ,
চিরযুগ নব জন্ম হীনতায় এ নিঃসঙ্গ ধরণী।।