আমি একটি আহত স্বপ্নের গান–
বাতাসের অম্লান দীপ্তি ছুঁয়ে নামি! বিজন সন্ধ্যায় এ অন্ধকার রাত দিগন্তের কোলে,
তখন তোমার এলায়িত চুলে
জ্যোৎস্নায় কি আদিম ঘ্রাণ–
ক্লান্ত ঊষষীর মতো নেহাতই নেশাময় ঘুম–
নদীর একবুক হিম শীতলতা আলতো স্পর্শের মতো জেগে উঠে মেলায়,
মৃত্যুর আলিঙ্গনে চাঁদের নীলাভ শরীরে!
তবুও— কি বিশ্বাসী স্বপ্নেরা আহত পৃথিবীকে খুব আপন করে নিতে চায়,
নিতে চায়—
এ সময়ের স্মিত আলাপ!
অসংখ্য রক্তের  সমাধি মাঝে, মানুষের গাঢ় বিষাদ তবুও তো অসংখ্য স্বপ্নের তরী খুঁজে চলে!
ভাসতে চেয়ে ভাসনের শূন্য শর্তে,
সেসব দেখো না তুমি!
একবার আরক্তিম চোখ মেলে দেখো,
ওরাই তো সুন্দর স্বপ্নভুমি–
এ পৃথিবীর ধূসর স্বপ্ন গুলোকে ওরা সত্যি করে দিয়ে চলে যেতে চায়!
ওরা জানে
এ বাসস্থল আমাদের বাস-যোগ্য--- নয়,
যদিও একটা টান অনুভব করে মাঝে মাঝে–
হয়তো
আমারই মতো
ছন্দের আলস্যে,
স্মৃতির কণায়!
যেমন
চাঁদের নিটোল স্পর্শে
চুপ করে থাকে এক পৃথিবীর সমাধি, সুরলোক আলো!
কোনও এক আয়ত দিনে দুচোখের আলগা পাঁপড়ির মতো–
কি বীভৎস্য কালো!
আর কিছু নয়
বিহ্বল অন্তিম পৃথিবীকে চিনে নেবে বলে,
সমাধির প্রাঙ্গণতলে– টুপটাপ শিশিরের মতো ঝরে যায়!
আমার এ স্নিগ্ধ তনু দেহখানি,
তখন তারাদের দেশে
চুপ-চাপ—
শুয়ে পড়ি আমি,
তাদেরই স্বপ্নের অতলে।।