রাত্রির নিমীল অভিজ্ঞাণে—
ওদিকে ততদূর মৃত্যুর আস্ফালন নেই!
বিবর্ণ প্রণয়ের নিষ্প্রাণ কিছু সংলাপ রয়ে গেছে—
অসীম নিঃসঙ্গতায় নিষ্প্রাণ নিঃসঙ্গ কিছু সংলাপ!
আজ সেইসব রক্তের মহোৎসবে–
আর্থিক চেতনার নির্নিমেষ লেনদেনে,
রয়ে গেছে অজস্র মৃত্যুর মতো অন্তিম হাহুতাশ!
জমে ক্ষোভ জন্মের মতো,
স্বপ্নলীন টেমপ্লেটের ধূসর প্রয়াসে—
করুণার রঙে রাঙায়িত সন্ধ্যায়,
স্বর্ণাভ স্বপ্নের মতো বক্ষে জড়ায়–
অজস্র মৃত্যুর মতো অমলিন পুষ্পের ঘ্রাণ!
অসংখ্য উৎসারিত প্রহেলিকায়,
ঘনিষ্ঠ সময়ের কাছে—
ঘননীল আক্ষেপে সেইসব পরিযায়ী পাখিরা,
এখনও অগণন প্রহর গোনে!
শশ্মানে চিতায়,
ভস্মসার অঙ্গারের কালান্তক তৃষায়—
নিরুত্তর সময়ের তীরে,
হাড়হিম শবের ব্যজন!
সৃজনের কঙ্কাল মেখে—
প্রারম্ভিক ছাইয়ের স্তূপে!
চিরন্তন অনিন্দ্য স্বপ্নের মতো নিষ্প্রাণ ধূপে,
স্বর্ণোজ্জ্বল কে আর রাখিবে খোঁজ—
মৃত প্রয়াণের পথে!
তারাদের সম্ভাষণ পেরায়ে,
সমুজ্জ্বল রোদ অশ্রুত মৃত্তিকায়—
রেখে গেল শেষ যতিচিহ্ন তার!
কলঙ্কের সুনিপুন ক্ষীপ্রতায়,
প্রত্যহ অনিবার জলে উঠে—
এইসব ইতি উতি হাহাকার।।