কোথাও নিশ্চয়ই যাবো এই অসীম পথ ধ’রে
কোনো গ্রামের অধিবাসীরা নিশ্চয় বলবে এখানেই থাকো
এর পরেই জঙ্গল শুরু হয়েছে
আর নদী পেরোলে পাহাড়ের দুস্তর দিগন্ত
কোথায় যাবে এখানেই থাকো নদীর কিনারা থেকে
একটু সরে এসে ওই শিমুল গাছের নৈর্ঋত কোণে দ্যাখো
চম্পাবতীর ফেলে যাওয়া গৃহকোণ
ওখানে রচনা করো তুলসী
নিশ্চিন্ত মনে সঙ্গী ধর্মকে নিয়ে রয়ে যাও পছন্দ হয়েছে তার
বিকেলের গন্ধমাখা চম্পাবতীর ফেলে যাওয়া উঠোন
ইতিমধ্যেই সে দেখেছে শুঁকে সব
বৃদ্ধ দিকপাল গ্রামের অধিবাসীগণ এই কথা ব’লে
পরম আশ্রয়ের দরজা দিলো খুলে
সকালের মনোভাব নিয়ে পিকনিকের মত এই গ্রাম
সারাবেলা কুহুস্বরে ভ’রে থাকে
কেউ জানতে চায় না কোথা থেকে এলাম কেন এত ক্ষতচিহ্ন
কিংবা আমরা চম্পাবতীকে চিনতাম কি না