মা হল আজ পাগলী’টাও, কেউ হলনা বাবা।
কে জানে কোন নরখাদক বাগিয়েছিল থাবা।
অষ্টাদশী পাগলী তখন রূপ যৌবনে ভরপুর।
দেখেছে কেউ তার মধ্যেই জান্নাতি এক হুর।
কিংবা দূরের স্বর্গ থেকে নেমে আসা এক পরী।
অন্ধকারে টান দিল কেউ আঁচল খানা ধরি।
ওই দূরের ওই সড়ক পারে কিংবা কোনো ঝোপের ধারে।
মিথ্যা প্রেমের শুকনো ফুলে সাজিয়ে ছিল পাগলীটারে।
আঁধার রাতে পাগলী সেদিন আস্ত পরি জ্যান্ত হুর।
অষ্টাদশী পাগলী ছিল রূপ যৌবনে ভরপুর।
তখন পাগলী গর্ভবতী দুই তিন মাসের হবে।
ইস্টিসেনে পা ছড়িয়ে বসতো সে নিরবে।
শরীরে তার আর একটি প্রান বাড়ল ধীরে ধীরে।
ভিন্ন স্বাদের প্রশ্ন গুলি পাগলীকে দেয় ঘিরে।
পাগলীর তো চিন্তা করার একটি ও নাই কারণ।
সে জানে না কুমারীদের মা হওয়াটা বারণ।
মা হয়েছে পাগলীটা এক পিতৃহারা শিশুর।
হারিয়ে গেছে হাজার ভিড়ে পিতা নামের অসুর।
পাগলীটা আজ বাচ্চা কোলে বসছে পথের ধারে।
যাওয়ার পথে বাবুরা সব খাওয়ার ছুড়ে মারে।
বাড়ছে সে যে মায়ের কোলে নিষ্পাপ এক প্রাণ,
আবার কোন নরখাদক ওই দিল ঐ টান।