কেতাব খানি সেই পুরনো, গল্পটা ঠিক তেমনি আছে,
দিনবদলের ধরনা ধারায় শব্দ কটি বদলে গেছে।
মাঝের কটি পৃষ্ঠা ছেঁড়া, আর কটিতে রক্তের রঙ,-
কয়েক পাতা গুলিয়ে লেখা ‘হয়তো-যদি-কিন্তু-এবং।’
নামগুলো সব এলোমেলো, কয়েক পাতা ছড়িয়ে রাখা।
কয়েকটি নাম খুব অচেনা, রঙিন কালি, সদ্য লেখা।
গল্পটা ঠিক তেমনি আছে, যেমন ছিল কদিন আগে।
পাখির ডাকে ঘুমিয়ে পড়া ঘুম ভাঙা এক অস্তরাগে।
রাত্রি ঘনায় আগের মতই, আগের মতই চাঁদ ও ওঠে।
বট অশথের ডালে ডালে কালপেঁচারা লক্ষ্যে জোটে।
গল্প আমার কল্পনা নয়, বাস্তবতার ধূসর খামে।
লিখত চিঠি রঙবেরঙে জলপরীদের অদ্য নামে।
আবেগ ঘন বোবা হৃদয় শখ করে পাতালে নামার।
কলম খানি ভাঙার পরে হারিয়েছিল ডায়েরি আমার।
স্বপ্ন ভাঙার শব্দ শুনে ঘুম ভাঙলো সন্ধ্যেবেলা।
এইতো প্রথম বুঝতে পারা নিজের প্রতি অবহেলা।
ঘুমিয়ে যদি স্বপ্ন দেখি বিফল হবে লক্ষ্য তবে।
ছুট লাগালাম খুঁজতে সিঁড়ি অনেক উঁচু উঠতে হবে।
পেরিয়ে গেলাম রাস্তা শত পাহাড় নদী বন বনানী।
দালান প্রাসাদ অট্টালিকা লৌহ সমাজ কয়লা খনি।
পেরিয়ে গেলাম শ্মশান কত পেরিয়ে কত কবরখানা।
কল্পনা নয় জল্পনাতে পর্দা ঘেরা দূর অজানা।
আঁচড় খাওয়া রক্তমাখা বেআব্রু কেউ ডুকরে কাঁদে।
রুগ্ন হাতে প্রেমের ছোঁয়ায় আমার সিঁড়ির রেলিং বাঁধে।
চলতে চলতে একলা পথে এই যে বাঁয়ে কুড়িয়ে পাওয়া।
এটাই কি সেই ডাইরি আমার গভীর রাতে হারিয়ে যাওয়া?