উনুনে ছাইয়ের স্তুপ,
আগুন জ্বলছে পেটে,
শূন্য ভাতের হাড়ি।
ফুটপাতে হাঁটি, রাজপথ বাঁয়ে।
চেয়ে চেয়ে দেখি ছুটছে হাজার
কিংসফোর্ডের গাড়ি।
হাতে তুলে নিয়ে গ্রানাইট
ছুঁড়ে মারলাম,
ছুঁড়ে মারলাম আমি।
চিৎকার করে বললাম
দে ভাত দে, দে ভাত দে হারামি।
আরো বেশী জোরে চিৎকার করে
ওরা ছুটে এলো।
কারো হাতে লাঠি
কারো হাতে ছিল রাইফেল।
কেউ বা শূন্য, কারও হাতে ইটপাটকেল।
রুগ্ন চুলের মুঠি খানা ধরে
সজোরে ফেললো নীচে।
কেউ মারে লাথি তলপেটে
কেউ চড়-থাপ্পড় ঘুঁষি।
আমি চেয়ে চেয়ে তফাৎ খুঁজি
আর মনে মনে হাসি।
ক্ষীন হয়ে আসে গালির শব্দ
দৃষ্টি ঝাপসা ধরে।
স্মৃতি গুলো সব
একে একে করে উল্টেপাল্টে আসে।
স্ত্রীর ঠোঁটের মৃদু হাসি
খোকার খিলিখিলি
দুঃখী মায়ের আদুরে ডাক
দুটি কানে ভাসে।
মৃত্যু প্রেম সহবাসে
ফুটপাত লাল রঙে।
রোজই কোন ক্ষুধার লড়াই
ট্রাফিক নিয়ম ভাঙে।
শরীর জুড়ে এত ক্ষুধা
কারোর দৃষ্টি পেল না তা।
দেখল না কেউ সামান্য পেট পাতলা পর্দা ভেদি।
হাতে পাথর দেখলো সবাই।
ক্ষুধাই আমায় বানিয়ে দিল জঙ্গি- আতঙ্কবাদী।