কাকে বিশ্বাস করবো -
যাকে ভোট দিয়েছি, সে ছেড়ে গেছে
যাকে ঠোঁট দিয়েছি, সেও চলে গেছে
সবকিছু ছাড়িয়ে, নিরালম্ব উড়ে যাই
চাঁদের কাছাকাছি।
রাংতায় মোড়ানো স্বর্গে আগুন দিচ্ছেন ঈশ্বর
কোনো দিক নেই আর, সমস্ত পথ ফাঁকা
সমস্ত পথ বাঁকা।
কোনো বন্ধু নেই -
নেই কোনো বৃষ্টি, কেউ আড়াল করেনি আমায়
ধাক্কা খেতে খেতে ক্ষয়মুখী এক প্রাণ
পতনশীল পাতার মতো, নির্ভার।
আমাকে মৃত্যুর অন্দরমহল দেখাও
আমাকে ধ্বংসস্তূপ, ছাই, বারুদ, রক্তদাগ -
মুখ থেবড়ে পড়ে থাকা মানুষের নুন,
নুন-জল সমুদ্রে চোবাও
মৃতমানুষ আমার মা, স্ত্রী, প্রেমিকা-
আমার জন্মদাগ লেগে আছে ঐ রক্তে
পৃথিবীর শেষতম প্রান্তে ধূপ জ্বালাও, দাও গন্ধরাজ
আর কাকে ছুঁয়ে দেখবো -
সমস্ত শীত আড়াল করেছি গরম জামায়
এদেশে স্পর্শ বলতে লাঠিচার্জ
বর্ণ বলতে লাল, গন্ধ পাই না তাতে তোমার।
ঐ বাদামী চুল, কালো চোখ, চিতার মতো জ্বলছে চেতনা
এভাবে চলে যেও না।
যেভাবে মুহুর্ত যায়, চলে যায় বয়স
অনঙ্গ গেরুয়া আগুন নিয়ে যায় জীবন।
শব্দ ভেসে ভেসে দৃশ্য তৈরি করে
অদৃশ্যের জগতের, স্পর্শ তৈরি করে
অস্পৃশ্যের জগতের, সারাদিন অকাতর।
এভাবে বসে থাকা যায়? তবুও অব্যক্তের সাধনা
যদি কিছু কথা বলা যায়
যদি ছুঁয়ে দেখা যায়
যদি বিশ্বাস করা যায়