স্বপ্ন ছিল জীবন ভরে,
তোমার হাত আঁকড়ে ধরে,
আমার হৃদয় উজার করে,
তোমার স্মৃতি লেখা।
বিষাদ আমার ঘর করেছে,
হিংস্র নদীর চড় মরেছে,
নীরব আমায় পর করেছে,
আমি ভীষন একা।
আমি তো ছিলাম তোমার পাশে,
বৃষ্টি ভেজা শ্রাবন মাসে,
তোমার চুলের ঘোর বাতাসে,
তুমি বললে আড়ি।
আমার বাঁচার হিসাব-নিকাশ,
দুঃখ ভুলে মনের বিকাশ,
মন খারাপের ঘোর বিপদে
আমার শূন্য বাড়ি।
আমি তো বেশ ভাবতে পারি,
মাথার উপর বিশাল বাড়ি,
ফুলের বাহার দুপাশারি,
লুকিয়ে তোমার হাসি।
কোথায় যেন দস্যি মেয়ে,
তোমার ছোয়ায় জীবন পেয়ে,
গভীর স্রোতে নৌকা বেয়ে,
তোমার কাছে আসি।
জন্ম আমায় পর করেছে
উড়তে নেই মানা,
তোমার জন্য ঘোমটা কিনি,
আমার জন্য ডানা।
নীরব মানে আলতো ঠোটে
মিষ্টি হাসির অভাব।
নীরব মানে অশ্রু চোখে
তোমার চিঠির জবাব।
নীরব মানে মনের ভেতর
ছটপটানি ঢেউ।
নীরব মানে বৃষ্টি রাতে
বুক ভেঙেছে কেউ।
তোমার নীরব মন পেয়েছে
মাথায় চাঁদের আলো।
আমার নীরবে ঝড় উঠেছে,
আকাশ বেজায় কালো।
চাহিদার অলীক সুখে
তোমার নীরব হাসে।
তোমার কান্নার গভীর জলে
আমার নীরব ভাসে।
বাতাস তোমায় মন দিয়েছে,
আকাশ পেলো দাম।
আমার চিঠি নীরবই আছে,
কাঁদে শুধু তার রক্তে ভেজা খাম।