জাতের দন্দ্বে জাত মরেছে,
বেজাতের দড়জায় খিল,
অশুচি মেয়ে গা ছুলো তাই,
মনিবের ভাঙলো দিল।
জাতের ধর্ম,জাতের কর্ম,
জাতের হাঁড়ির ভাত,
পচা দেহ দগ্ধ হল তোর
ধ্বংস হল সব জাত।
জাতের নদী,জাতের ঝরনা
জাতের রাস্তায় বয়,
সমুদ্রে মিশে একাকার হলে
আর কার জাত রয়?
কৃষকের জাত মাটি জানে,
অভাবের জাতে শূন্য হাড়ি,
পুরুষের তেষ্টায় জাত হারালো
অর্ধনগ্নার শাড়ি।
পৃথিবীর জাত খামখেয়ালী,
বাস্তবের জাত কালো,
সূর্যের জাত পরিশ্রমী,
নিজে দগ্ধ তবু বাস্তবকে দিল আলো।
যে মেয়েটি ললাটের
ঐ লাল বস্তুটির আকাঙ্খায়
তোমার বিলাসিতার সব জাত
নীরবে সয়ে নিল।
তার সিথির তলের
অমশৃণ খাঁজের যে দুর্বলতা
তার জাত জানো কি?
যে বিবাদে ঘর পুড়েছে,মন পুড়েছে,
নিন্দুকে দিয়েছে গালি,
সে যুদ্ধে আমি জাত হারালাম ,
নিন্দুকের গুড়ে বালি।
যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হল আজ,
তার রক্তাক্ত কলিজা আদর পেল
বেজাতি দায়মার কোলে,
বেহায়া সমাজের, নিঃস্বংস প্রশ্নে
ও শিশু তোর জাত গেল জাত গেল বলে।