রোদ্দুর তোর বুক চিরে কত
হেটেছি ধানের ক্ষেতে।
বৃষ্টি ভেজা স্কুল ফেরা,
বিশৃঙ্খল আনন্দে মেতে।
শিশির ভেজা ব্যাস্ত সকাল,
বিকেল বেলায় ঘুড়ি।
খেলার মাঠে মেঘ জমেছে,
তোমায় নিয়ে উড়ি।
অগাধ স্বপ্ন, অল্প বাসনা,
হাজার খুশির মেলা।
বড় হওয়া কি ভাগ্যেই ছিল,
আজও ভাবায় আমার ছেলেবেলা।
খোকা যায়না আর মাছ ধরতে,
ক্ষীর নদীর কূলে।
মানবিকতার প্রবল চাপে
শৈশব গেছে ভুলে।
কোলা ব্যাঙের বন্দি জীবন,
আধুনিকতা ভেঙেছে ঝিল।
ছিপ নিয়েছে ভন্ড নাবিক,
হতাশায় মরেছে চিল।
কাজলা দিদি বৃদ্ধাশ্রমে,
আর শ্লোক বলে না বুড়ি।
তার মাথায় হাত রাখেনি চাঁদ,
বাঁশ বাগান জমপুরি।
যখন ভাবি, হয়ত সবই
শেষ হয়েছে কবে।
দুপুর বেলা ,পুতুল খেলা,
স্মৃতিটুকু খালি রবে।
মুচকি হেসে, আলতো ঘেষে,
বাস্তব বলে কানে।
তাকিয়ে দেখো, সব রয়েছে, শুধু মন ক্ষয়েছে,
শান্তি নেই প্রাণে।
শিশুর মত মন, উন্মুক্ত সারাক্ষণ,
স্বার্থহীন বিবেক নিয়ে যদি কাটে জীবন বেলা।
তবে বিলিয়ে দিও মুক্ত আকাশ,
প্রতিক্ষণেই থাকবে জেগে তোমার ছেলেবেলা।