যে বোধ নিঃস্ব হয়েছে ,
অশিক্ষা আর অহংকারের ছায়ায়।
যে স্নায়ুর দক্ষতা কমে,
বিলাসী স্পর্শের মায়ায়।
যে মেঘ সিন্দুর মেখে,
প্রভাতে আনে ঝঞ্ঝাট।
যে আবেগের মিথ্যো অপেক্ষায়,
বাড়ে অবলা নারীর ঠাঁট।
অবিশ্বাসের বিরহ যাতনায়
উদ্ভাসিত হোক শোক।
মর্ম গাঁথার কোমল হৃদয়ে তার
চেতনার জন্ম হোক।
জীর্ণ হোক অদৃশ্য রূপকথার লালসা।
ভালবাসার জন্ম হোক শেকল ভাঙা ঘরে।
পরিশ্রমের শিরার রক্ত জমেছে,
কত নক্ষত্র ধূলিষাৎ হল বিবেকের অন্তরে।
চেতনার জন্ম হোক
বাতাসের সব ধুলিকনায়।
আমার অস্থির মন চেতনা পাক
তোমার অদ্ভুত আনাগোনায়।
চেতনাতেই বড় হোক নগ্ন শিশু,
অথবা মিছে মায়ার কোলবালিশ।
চেতনার অভাবেই বিক্রিত মানবতা,
অবহেলিত কত অভিমানীর নালিশ।
কি এমন হয়েছে পীড়া,
বাগানে ফোটেনি ফুল।
কি এমন অসহ্য রূপকথায়,
মনের বারান্দায় পড়েছে ঝুল।
যে জন হারিয়ে সব,
মুছেছে চোখের জল।
তার বিবেকে চেতনা হোক,
স্বপ্ন হোক উজ্জ্বল।
শিক্ষার অধিকার পাক পথের প্রতিটি শিশু,
তার ক্ষুদার কান্না হোক শেষ।
চেতনা ছড়াক সূর্যের সাহসি রশ্মি,
জন্ম হোক এক বেকারত্বহীন দেশ।
বিদ্রোহ উঠুক আবার
ইতিহাসের সব রক্তমাখা পাতায়।
অমিমাংসার বিচ্ছেদ মুছে যাক
ভবিষ্যতের সব খাতায়।
যুদ্ধ,ক্ষমতা, জাতের বিদ্বেষ,
আর নির্মম ধর্মের নীতি।
ধর্ষন,হিংসার জঘন্য বিপ্লব,
সঙ্গে গলা কাটার রাজনীতি।
অলীক আকাংখার নেশায়
যদি রক্তিম হয় চোখ।
ধরনীর বুকের প্রতিটি শিরায় তবে,
চেতনার জন্ম হোক।