তোমার মাথায় আকাশ,বিশাল সুখ,
অভাব দেশেও নাইকো দুখ,
চাঁদবদনা রূপের ছটায়
লাজুকে মরে আয়না।
স্বপ্নছোয়া তোমার বাটি,
নাকছাবি আর পরিপাটি,
সোনায় বাঁধা দাঁতকপাটি,
তুবও চাঁদের বুড়ির বায়না?
বায়না করা সাধের ঘড়ি,
জামদানি আর বালুচড়ি,
ভাতের পাতে আহামরি,
আর কি আমার চায়?
আলগি পেয়ে আমি বাঁদর,
ছল কান্নায় দাদুর আদর,
কঠিন শীতে তুলোর চাদর
বায়না করেই পায়।
বায়না করো বাবার কোলে,
পায়ে যেন ঘুঙুর দোলে,
ঘুম ভাঙানোর সাত সকালে
সুখের হদিস চায়।
বাবার বায়না শুনবে কারা,
তোমার যত্নে ঘর যে ছাড়া,
ঘামের বন্যায় দিশেহারা,
আমি খবর পায়।
এখনও লড়াই অনেক বাকি,
বায়না করে কাজের ফাঁকি,
অভাব পাতায় গোলাপ আঁকি,
বিকাশ হল ঢের।
চাষির বুকে বিষম জালা,
চাষের ফুলেই কবর মালা,
মনিবের অন্নের বিশাল থালা,
চাষির গুনতি করা সের।
আমি যখন বায়না করি,
বিশাল আকাশ,স্বপ্নপরি,
আমার একাই খবরদারি,
আয়েশী রাজার বেশ।
আকাশ আমায় দেখালো রোদ,
স্বপ্ন পরির বিশাল ক্রোধ,
রাজ্যে সুখের ঘোর অবরোধ,
বায়না হল শেষ।
তোমার বায়নায় আমার ফাঁকি,
রঙীন তুলি,তোমায় আঁকি,
সুযোগ পেলেই হাঁকাহাকি,
হয়ত সবই ভূল।
আমার জীবন একাই ভালো,
মেঘ করেছে?মশাল জ্বালো,
প্রখর রোদেও আকাশ কালো,
চুলোয় যাক তোমার বায়না করা দুল।