না থেকেই কি নারী ?
--- সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী
না বলতে পারোনা বলেই কি
তুমি নারী ?
অসম্ভব শক্তিধর দূর্গা , মা তারা
কিংবা লক্ষ্মীমন্ত জগৎধাত্রী বসুন্ধরা ।
খুব গুছিয়ে মিথ্যে বলার
পরেও সুন্দর করে হেসে হেসে না বলার
দারুন এক ক্ষমতা নিয়ে জন্ম
নেওয়ার নাম মা;
একজন না বলার দক্ষ কর্মী
থেকে মহিয়সী নারী ।
বাবার শাসন, মায়ের বকুনি
দাদুর ধমক সবকিছুকে
আগলে রাখার জন্যেই কি একজন বোন ?
শতভুলকে কিছুই হয়নি , কিছুই হবে না ;
এই না বলার জন্যেই তুমি
স্নেহের আঁচলে ঢেকে রাখা নারী ।
তারুণ্যের উন্মাদনায় যৌবনের ট্রেনে
ছুটে চলা দুর্নিবার সৈনিকের হাত
ধরে রাখার জন্যেই তুমি প্রেমিকা ;
যে শুধুই বলতে শিখেছে -
জীবনে হারা যাবে না ; দমে যাওয়া
মানেই আমি শেষ ; আমার মৃত্যু ।
এই না বলে সামনে এগিয়ে দেওয়ার জন্যেই
তুমি এক প্রেমিকা, না বলার
জ্বলজ্বলে অগ্নিশিখা নারী !
অত্যন্ত চমৎকার করে সবকিছু মানিয়ে নেওয়া
মেনে নেওয়া , মনে না নেওয়া
সবকিছুর জন্যেই পাশে একজন স্ত্রী;
বিশ্বকে জয় করবার অসীম শক্তি
না বলার ক্ষমতা নিয়েই তুমি নারী ।
ঘরের আলো, ভাগ্যের চাকা
ঈশ্বরের দূত; কপালের রাজটিকা
তোমাকে যে নামেই সম্ভাষণ করি না কেন ,
তুমি আমার মেয়ে; আমার কল্পনার মা লক্ষ্মী ;
যে কেবলি প্রকাশ করে
সবকিছুতেই পরিপূর্ণ আমার ঘর
আমার ভবিষ্যৎ ; যাঁর মুখে নেই
না শব্দের কোন প্রতিধ্বনি ।
সেইজন্যই কি তুমি নারী ?
তোমাদের সবাইকে অভিবাদন হে নারী !