তুমি আছ আমি জানি

আজ মুহূর্ত মিলনের
এই অবকাশ, আমাদের
অপূর্ব আকাশ
ঠিক তোমার মতন
মাতোয়ারা, সুন্দর
কালের লিখন, লিখেছে যত ততই হয়েছে নূতন
মিষ্টি বৃষ্টির ছাঁট সতেজ মাটির ওপর
সমুদ্র থেকে চোখের পলকে উঠে আসা জল
অসীম নীল পাতায় দেয়, সাদা মেঘের আঁচড়
গুরু গুরু অদৃষ্ট, তোমারি উপস্থিতি
ভালবাসার আভাস আসে ভালবাসার প্রতি
বাতাসে আজ মৃদু চঞ্চলতা
হারাতে দেয় না তোমায়, আমার জ্বলজ্বলে নিষ্পাপ স্মৃতি
তুমি আছ আমি জানি
মিলন মন্দিরে তাই তোমার স্থান বিরহকে অহরহ ম্লান ক’রে রাখে
সহবাস করে এই গুনগুন মনে
বর্ষা গরম বসন্ত
অক্লেশে তারা একসাথে চোখ মেলে, এই আকাশে
সূর্য চাঁদ পশ্চিম পূর্ব অধঃ ঊর্ধ
এই দিগন্তহীন অন্তরে ফুটে চলেছে উদয়াস্ত, অপরিসীম
কাশফুল কৃষ্ণচূড়া একে অন্যের পর
নির্ভয়ে নির্ভর, জড়িয়ে আছে পরস্পর
মাতোয়ারা সুন্দর
ঠিক তোমার মতন
অপূর্ব আকাশ
এই অবকাশ, আমাদের
আজ মুহূর্ত মিলনের



তুমি আছ আমি জানি

আজ মুহূর্ত মিলনের
এই অবকাশ, আমাদের
অপূর্ব আকাশ
ঠিক তোমার মতন
মাতোয়ারা সুন্দর
নির্ভয়ে নির্ভর, জড়িয়ে আছে পরস্পর
কাশফুল কৃষ্ণচূড়া একে অন্যের পর
এই দিগন্তহীন অন্তরে ফুটে চলেছে উদয়াস্ত, অপরিসীম
সূর্য চাঁদ পশ্চিম পূর্ব অধঃ ঊর্ধ
অক্লেশে তারা একসাথে চোখ মেলে, এই আকাশে
বর্ষা গরম বসন্ত
সহবাস করে এই গুনগুন মনে
মিলন মন্দিরে তাই তোমার স্থান বিরহকে অহরহ ম্লান ক’রে রাখে
তুমি আছ আমি জানি
হারাতে দেয় না তোমায়, আমার জ্বলজ্বলে নিষ্পাপ স্মৃতি
বাতাসে আজ মৃদু চঞ্চলতা
ভালবাসার আভাস আসে ভালবাসার প্রতি
গুরু গুরু অদৃষ্ট, তোমারি উপস্থিতি
অসীম নীল পাতায় দেয়, সাদা মেঘের আঁচড়
সমুদ্র থেকে চোখের পলকে উঠে আসা জল
মিষ্টি বৃষ্টির ছাঁট সতেজ মাটির ওপর
কালের লিখন, লিখেছে যত ততই হয়েছে নূতন
মাতোয়ারা, সুন্দর
ঠিক তোমার মতন
অপূর্ব আকাশ
এই অবকাশ, আমাদের
আজ মুহূর্ত মিলনের


ঊর্দ্ধগামি কবিতার ভাবধারা

ভাষার জন্মকাল থেকেই আমরা তাকে অনেক রকম ব্যাকরণের নিয়মে বন্ধ ক’রে রেখেছি। এমন কি তার গতিপথও নিয়ন্ত্রিত। কিছু ভাষা বাঁদিক থেকে ডানদিকে চলে, কিছু ডানদিক থেকে বাঁদিক; শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকেই আমরা মাধ্যাকর্ষণ নিয়মে নিম্নগামী ক’রে রেখেছি, একটু থেমে আমরা কবিতার দিকে চোখ রাখলে বুঝতে পারব যে কবিতা যখন মনের মধ্যে জন্ম নেয়, তখন কিন্তু সে কোন গতিবিধির ধার ধারে না, জন্মান’র পরও তাকে পাঠ ক’রে পাঠকের মনে বেশিরভাগ সময়েই একটা ট্রান্সেন্ডেন্টাল অনুভূতি (লীপ) লক্ষ করা যায়। তাই যদি হবে, তাহলে কেন আমরা তাকে গঠনগত দিক থেকেও ঊর্দ্ধগামী হ’তে দিচ্ছিনা। এটাকি আমাদের ‘তাসের দেশ’ এর ‘চল নিয়ম মতে’র কথাই মনে করিয়ে দেয়না?

এই তথাকথিত চিরাচরিত অসংখ্য নিয়মজালে আবদ্ধ কবিতাকে একটি নিয়মের থেকে উন্মুক্ত করার এক স্নেহশীল প্রতিবাদ, এক বিনম্র প্রচেষ্টা।

আগ্রহী পাঠক ‘তুমি আছ আমি জনি’ এই কবিতাটি নীচের পংক্তি থেকেও পাঠ শুরু ক’রে, উপরের পংক্তিতে গিয়ে পাঠ শেষ করতে পারেন।

পাঠের সুবিধার জন্য কবিতাটি দুবার লেখা হ’ল, একবার প্রথম লাইন থেকে শেষ লাইন অবধি আর একবার শেষের লাইন থেকে প্রথম লাইন অবধি; গঠনগত দিক থেকে তাই একে ঊর্দ্ধগামি কবিতা বলা হল।

আনন্দম্
সুপ্রতীক সেন