বৃষ্টির ছোঁয়ায় নাইট কুইনের পরাগরেণু জুবুথুবু,
আধখানা মৃগাঙ্ক বিনাতারে আলোকিত করেছে মনন-দ্বার।
সেইপথে সঙ্গী হয়েছে প্লাজমা দশাস্থিত উজ্জ্বলতর, সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ড।
রাতের নিস্তব্ধতা ছিঁড়ে ঠিক অভিসারে মেতে উঠেছে-
শ্বেত-বসনা মৃগাঙ্ক, রাতের অঘোষিত রানী।
শেষপ্রহরের আলো-আঁধারির ভাঁজে ভাঁজে রহস্যময়ী নারীর আঁচল লেপ্টে আছে মায়াবিনী ধুম্রজালে;
প্রভঞ্জনে তরঙ্গায়িত আশার দ্বিধার দোলাচল-
কৃষ্ণকালো সরোবরে বিম্বের সন্তরণ আশাবরী-মূর্ছনায়।
পঙ্কিলতায় ডুবে গেছে কাঁচ-চোখের আঙ্গিনা,
শিড়দাঁড়া বেয়ে শীতল অনুভূতির সর্পিল চলাচল।
আঁধারের বনলতারা হারিয়ে যায় মিশরের সুপ্রাচীন নীল-নদের অববাহিকায়;
রাতের তিনপ্রহরে ভেসে আসে করুণ আর্তনাদের নিরাকার প্রহেলিকা –
দীর্ঘশ্বাসের বিটপী শ্রাবণধারায় লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে ওষ্ঠের প্রাচীর চুমে।
দ্বিভূজের কোণে স্বরদায়িণী বীণায় আছড়ে পড়ে নীহারিকা-কণা।
মৃগনাভিতে আত্নার ক্রন্দন উপহাসের সুগন্ধি ছড়ায়।