রচনাকাল-২৮ জুলাই ২০২০
সন্ধ্যা নেমেছে শহরের বন্দীশালায়,
রাস্তার নিয়ন বাতিগুলো জ্বলে উঠেছে,
পান্থ পাখিরা নীড়ে ফিরছে ক্লান্ত শরীর টেনেহিঁচড়ে।
কর্মঠ মানুষগুলোর মাংসপিণ্ড হিমায়িত হয়ে আছে দেহের অভ্যন্তরে;
আত্নারা ঘুরছে ঠিকানা বিহীন বাতাসের নিষিদ্ধ কামরায় পঁচা মাংসের আমন্ত্রণে ।
সারমেয়দের কুই কুই আওয়াজে কাঁপে নগরাত্না;
নর্দমার ভাগাড়ে মূল্যহীন ভাগাভাগি বেনামি মানুষ-পশুতে।
চলন্ত আলোয় চমকে উঠে অন্ধপথের বাদশারা।
ফুটপাতে সারি সারি ঘুমন্ত পিপীলিকাদের জীবিত লাশ;
ঘুমের দেশে লোভ-লালসা অগ্নিদগ্ধ, নির্বাক-পরাবাস্তব চলচ্চিত্র চিত্রিত;
ফিনিক্সের মতো পুড়ে জাতিস্মর হয় প্রতিটি স্বপ্নভূক মানবজাতি।
শহরের বেনোজলে ধর্ষিতার আর্তনাদ উন্মুক্ত ম্যানহোলে বিম্ব ঘটাচ্ছে ;
বিবর্ণ-বিধ্বস্ত পরিযায়ী মন সুখ খোঁজে সোডিয়ামের হলুদাভ আলোয়।
পায়রার খুপরিতে বাসা বাঁধে সুশীল সমাজের নীরব ঘাতক-ঘুনপোকা।
আদিত্যের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় পোস্তগোলার শশ্মানে আপাস্যমন্ত্রে।
অবিরত মানবসভ্যতা ঘূর্ণিপাকে- নিকোটিনের জীবন্ত ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে;
ঝুলন্ত ত্রিদিব ছুঁয়ে যায় সুউচ্চ ভবনের ছাদ-প্রাচীর আর ভাবুকের ভাবনার কার্নিশে।
সন্ধ্যা নামে মিহির-আলো সরিয়ে, তারার-ফুলে কানাকানি হবে যে অগোচরে;
বন্দীশালার দ্বারে অভ্যর্থনা জানায় মাধুরীলতা সুগন্ধি মাখা পাগড়িতে।