শেষ পরিণতি
১১ আগস্ট ২০২০
ছায়াগুলো শুয়ে দূর্বা ঘাসের কার্পেটের বিছানায়,
অপলক শুধু দেখছে উলঙ্গ উপুড় হওয়া নীলাম্বরকে।
বুনোপথের সমান্তরালে দূর্বা ঘাসগুলো সম্ভাষণ জানাচ্ছে অনন্তকাল;
ফড়িংয়েরা দুলছে ঘাসের আগায় হাওয়ার লহরীতে।
মিহির-কণায় দূর্বা ঘাসের চাপা ক্রন্দনে বর্ণিল বিচ্ছুরণ,
পথভোলা পথিকের তৃষ্ণার্ত বারিধারা।
ক্লান্ত পথিক- একমুঠো রোদ, দূর্বার আরতি লয়ে;
মুঠি মুঠি ঝলসানো দূর্বা গোগ্রাসে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।
নীহার বিন্দুর জলজ প্রাচীরে প্রাচীন কুসংস্কার, ধূলিকণা;
ঊর্ণাজালে কপোত-কপোতীর বেওয়ারিশ ভালোবাসা হাঁসফাঁস করছে অনাদিকাল।
হরিৎ বনানী সেজেছে আধ খাওয়া আপেলের মতো।
চোখের কোলে জমানো জলাধারে সঞ্চিত বহুবর্ষীয় হাহাকার ও আর্ত্ননাদ;
থমকে নেই অবাধ্য স্বপ্নের আসা-যাওয়া অলস মস্তিষ্কের নিউরণে।
বর্ষীয়ান কুঁচকানো মরালগ্রীবায় ঝুলছে চাওয়া-পাওয়ার বেহিসেবি ডায়েরীটা;
পচন ধরেছে শরীরের আনাচে কানাচে জমাট বাঁধা মাংস খন্ডে,
হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় মাংস পঁচা দুর্গন্ধের বায়বীয় পদার্থ।
মাংসাশী পশুর দল রসনার মহোৎসবে মাতোয়ারা।
হেম-পেয়ালা হাতে সুদূর তেপান্তরে যমদূতের ওষ্ঠে বিজয়ীর হাসি দুলছে;
ঈশ্বর আছেন/না নেই? তার হিসাব মিলবে গভীর ঘুমের দ্বারপ্রান্তে-আধখোলা আঁখিতে;
জীবন ঘাটে তরী বাঁধা-অনতিবিলম্বে ভবনদী পারাপারের অপেক্ষায়।