রাতের আঁধার ফুঁড়ে কৃষ্ণগহ্বরে দুটো শ্বেত-শুভ্র তারা
আলোর ফোয়ারা ছড়িয়ে নিভে গেল দপ করে।
বিষাদে ভরে গেল অমৃতরসের অগ্নুৎপাতধারা।
বিবর্ণ-বিষণ্ণ কালজয়ী দুঃখ বোধগুলো ইট-সুড়কির দেয়ালে গেঁথে থাকে;
রাতের শরীর বেয়ে আঁধার নামে মহাজাগতিক এই নগরে;
দিবানিশি ভাসে ঐ নীল-বিশুদ্ধ সরোবরে পানকৌড়ির দল-
মেঘের উড়ুপে হাওয়ার সাথে সাথে আকাশের বুকে জড়াতে চায় সঙ্গোপনে।
শ্রাবণের সিক্ত-আলোকজলে জ্যোৎস্নাবিলাসে রাত্রিযাপন-
ময়ূরপঙ্খী নায়ে বিষাদ-হর্ষের বেসাতি বিকিকিনি;
জমাট বাঁধা আত্ন-অহমিকা গলছে কষ্টের তীব্র তাপদাহে।
সন্তরি ভাবনার সন্তরণে অবিরত ঘটছে হার্টের বায়োপসি-
অন্ধকারের ক্রুসেডাররা মাতোয়ারা তপ্ত রক্তের নেশায়।
আবাল বৃদ্ধ বনিতা সঙ সেজেছে কালো জাদুর নীহারিকা পুঞ্জে;
মৃগয়ায় চিত্রল হরিণ বধের ধূম লেগেছে;
অর্ণব সফেদ ফেনিলে গাংচিলের এলোমেলো ওড়াউড়ি।
হাজার বছর ধরে চলছে শ্বাপদ-সমাকীর্ণ অসীম গন্তব্যে,
কত শত চরণস্পর্শে পথের ধূলিতে অজস্র পায়ের ছাপ হারায় ধূলিতে।
মেঘের খামে জললিপি যাচ্ছে হারিয়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে;
দিন-রাত্রি পাশাপাশি, মহাকালের সাক্ষ্য হয়ে গেঁথে আছে মহাজাগতিক ঝুলন্ত ত্রিদিবে।