অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, সর্বাঙ্গে আগুনের পরশ বুলিয়ে – অবশেষে তুমি এলে!
তাপদাহের কাঁটা তারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে, হিম-শীতল স্পর্শের আলিঙ্গনে- তুমি এলে জুড়াতে প্রাণের স্পন্দন।
সে-ই তো এলে তবে কেন পথে হলো দেরী?
আরো আগে কেনো ধরা দিলেনা, ছুঁয়ে দিলে না প্রশান্তির আলিঙ্গন?
তোমারি অপেক্ষায় কেটেছে অষ্টপ্রহর;
চোখের পাতায় নিদ্রাদেবী আসন পেতে বসেনি- স্বপ্নের রহস্যময়তায় , বর্ণহীন দৃশ্যগুলো দৃশ্যমান হয়নি কতকাল! পাপড়িগুলো আলিঙ্গনের আবেশে হারিয়ে যায়নি মহাকালের গর্ভে,
তোমার চরণখানি বুকের বাম অলিন্দে লক্ষ্মীর পদচিহ্ন আঁকেনি অজানা অভিমানে।
ধরা দিলেই যখন- তখন আর অভিমান গুলো নিকষ-কালো অমাবস্যার মতো দীর্ঘ হতে দিবো না! মোম-জ্যোৎস্নার চাদরে জড়িয়ে নেবো আলিঙ্গনের মিষ্টি আদর।
শ্রাবণের বারিধারা আর তোমাকে যেতে না দিবো; তোমাকে শীতলতার বসন করে অঙ্গে জড়িয়ে রাখবো।