তোমার বুক পাঁজরে একটি ছোট্ট কুঁড়েঘর,
সেখানে বসত করে আমার প্রেম, দ্রোহ।
অভিমানের ময়ূরপঙ্খী নাও নিত্য করে এপার-ওপার;
ঘন-বরষায় জৈবিক অনুরণনে ভালোবাসার সেতু গড়ে।
ভৈরবী আশাবরী সুর-মূর্ছনা ভেসে আসে হৃদয়ের জলসায়;
মন্দাকিনীর স্বচ্ছ লহরীতে খেলি জলকেলি-
বর্ষার নবধারায় সঙ্গী দুষ্টু-দুরন্ত মীনদল।

মেঘেরা দল বেঁধে ছায়া দেয় শিয়রে দাঁড়িয়ে;
অধরে অধর ছুঁয়ে যায়, চোখে চোখে হয় শুভদৃষ্টি;
আলিঙ্গনে মিশে যায় আকাঙ্ক্ষার বহ্নি-শিখা।
অনুরাগের বাঁশরী বাজে মধুরিমা তানে;
শিরা-উপশিরায় ধাবিত হয় প্রেমের উন্মাদনা।
ঊষা-লগ্নে নীহার-স্নাত দূর্বারাশি চরণে প্রণাম ঠুকে;
শুক্লাপক্ষে চন্দ্রকণা পুষ্পরূপে গায়ে মাখি আলোকজল।
চড়ুই-বাবুইয়ের আনাগোনা আটপৌরে ছক এঁকে-
তারই ধারাপাতে তুমি-আমি যুগলবন্দী।