চারিদিকে ধর্ষণের আহাজারি! আজ শুধু নারীর দেহ ধর্ষিত হচ্ছে না;
আজ ধর্ষিত হচ্ছে শিশুর নরম তুলতুলে শরীর, বর্ষীয়ান বৃদ্ধার কোচকানো চামড়া।
ধর্ষিত হচ্ছে মনের যত ভাবনা গুলো, ধর্ষিত হচ্ছে আমার লেখার কলমখানি।
ডায়েরীর পাতাগুলো দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে ধর্ষণের ঘর্ষণে। শব্দগুলো ডুকরে কেঁদে ওঠে ধর্ষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে। ধর্ষিত হচ্ছে ঘুমিয়ে থাকা স্বপ্ন রাশি দুচোখের পাপড়িতে, আমার মায়ের হাসি, বোনের আশা ধর্ষিত হচ্ছে নীরবে চোখের জলে।
পাখির কলকাকলিতে ধর্ষণের আহাজারি নিত্য খেলা করে,
পত্রপল্লব ছিন্নভিন্ন হয় ঝড়ো হাওয়ার সাথে।
মেঘের ঘর্ষণে নীলাম্বর আজ ধর্ষিত অষ্টপ্রহর,
ধর্ষিত পাপড়ির শিরা উপশিরা ভ্রমরের মধু আহরণে। বর্ষণধারায় ধর্ষিত হচ্ছে সোঁদা মাটির বিছানা,
ধর্ষিত হচ্ছে মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, প্যাগোডা।
ধর্ষিত হচ্ছে রাষ্ট্র, জন্মভূমি, উত্তাল গঙ্গার লহরী,পাহাড়, জলাশয়।
ধর্ষিত হচ্ছে চির গহীন অরণ্য, চাঁদ ও কলঙ্কিত যুগ যুগের কল্পকাহিনীতে।
পথের বেনামি কুকুর গুলো ও ধর্ষিত হচ্ছে মানব শরীর দ্বারা,
ধর্ষিত হচ্ছে নর্দমায় পড়ে থাকা পাগলীটা,পাহাড়ের পর্বতকন্যা।