ভাবনাগুলো ধবল সাদা ডানায় ভর করে প্রাচীন শঙ্খের মতো-
কুন্ডলীকারে ঘুরছে বন্দী কারাগারের প্রাচীর ঘেঁষে।
ড্রিল মেশিনের মতো  ভাবনাগুলো প্রাচীর ভেদ করে বেরিয়ে যেতে পারছেনা মুক্ত নীলাম্বরে।
কষ্টগুলো ঝুলন্ত মেঘের বৃষ্টির মতো টপটপ করে জমা হচ্ছে-
কপোল বেয়ে বুকের বাম অলিন্দের কুঠুরিতে।
চাওয়া পাওয়া গুলো কে সুঁই সুতা দিয়ে একখন্ড কাপড়ের জমিনে-
এফোড় ওফোড় করে আটকানো যাচ্ছে না।

প্রজাপতির ডানায় রঙধনু দখল নিয়েছে অবৈধ নিবন্ধনে কিংবা
বিবর্ণ প্রজাপতি জোর করে আটকে নিয়েছে রঙধনুকে রূপের জৌলুস বাড়াতে!
হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো চুপসে যায় জীবনের স্বপ্নগুলো
কারো অবহেলা আর অযত্নের এক চিমটি আঙুলের দমবন্ধ পীড়নে।
নাইট কুইনের মতো ভোরের আলো ফুটবার আগেই
সুখপাখি বিষাক্ত সাপের গর্তে লুকিয়ে যায়।
কান্নাগুলো শুকিয়ে গিয়ে লোনাজল জমানো চোখের পাপড়িতে ঝুলে থাকে বেদনার মানচিত্র এঁকে।
বোবা শব্দরা পরিপাটি সেজে অপলক দৃষ্টিতে সহস্র ভাবনার খেরোখাতা খুলে বসেছে।
নীলাভ, ঢেউ খেলানো জলপর্দার বুকে নির্বাক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কে।
পেঁজা তুলোর মেঘের উড়ুপে ভর করে বিষণ্ণ বিকেল জেঁকে বসেছে চোখের কার্নিশে।