আকাশটাকে খুব ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে,
কোথায় তার দিগন্ত, কোথায় সীমারেখা!
বিষুবীয় রেখায় কেমন করে আকাশের বুক চিঁড়ে উড়ছে আকাশযান?
তখন কি রক্ত ঝরে? হাহাকারের প্রতিধ্বনি হয় কি ঐ নীলাম্বরে?
তাই কি আকাশের বুকে ব্যথার নীলতরঙ্গ বয়ে যায় যুগ যুগান্তরে?
বর্ষণধারা হয়ে মাটির বিছানায় সমাধিস্থ হয় কি অশ্রুজল!
চঞ্চলা মেঘগুলো কেমন করে ছুটছে ঐ ঝুলন্ত আঙ্গিনায়!
মেঘের ঠোকাঠুকিতে বজ্রপাত সে কি ব্যথার অনল-শিখা?
আকাশনীলের ঝুলন্ত সাম্পানে পরিযায়ী পাখিরা পাড়ি দেয় সাগর, মহাসাগর, মহাদেশ।
অহর্নিশি জল-আয়নায় কোন সে সুন্দরের অন্বেষণে অপলক চেয়ে রয়?
মিটিমিটি জোনাক-আলোয় কেমন করে রাতের তারা জ্বলছে ললাট-আসনে?
চন্দ্র-সূর্য কেমন করে ঐ আবক্ষে জীবন কাটায় কালের পরিক্রমায় আহ্নিক বলয়ে?
চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ সে-কি নীলাম্বরের রসনাবিলাস ক্ষুধার নিমিত্তে?
মঙ্গলগ্রহে মঙ্গল, শনির দশা নিয়ে শনি- কেমন করে একই জমিনে আছেন তারা দিব্যি!
বৃহস্পতি ও আছেন তুঙ্গে মহাকালের আলোকবর্ষ ছুঁয়ে।
চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে নাকি চাঁদ মামা হয়ে জ্বলছে শশাঙ্ক কালের আবর্তে?
উল্কাপিণ্ড দলছুট হয়ে কোন সে বিরহে আত্নাহুতি দেয়?
ক্ষণে ক্ষণে পোষাক বদলায় কোন সে আনাড়ী প্রেমের অবগাহনে?