রচনাকাল-২৪ জুলাই ২০২০

একটি নীলাকাশ দিবে আমায়?
যে আকাশের নীলে থাকবেনা বিধিনিষেধের বেড়াজাল,
থাকবেনা কাঁটাতারের সুউচ্চ প্রাচীরের স্পাইকলেট বুনন ।
হৃদয়ের রাডারে আতঙ্কের চতুর্মাত্রিক এন্টেনা-
অশনি সংকেতের সবুজাভ ইশারা জ্বালবেনা।
ভাবনার করিডোরে হেঁটে যাবো মহাকালের পথে;
এলেবেলে উদ্দেশ্য পূরণে হবো দ্রোহের ছায়াসঙ্গী।

যামিনী আঁধারে হাওড়ের বুক চিঁড়ে শাপলা-শালুকে
শ্রাবস্তীর কারুকার্য হবো।
নীলের ছটায় হবো বৃষ্টিস্নাত নীল অপরাজিতা;
শিকারী হবো ঝিলের জলে মাছরাঙা বেশে,
স্রোতস্বিনী মন্দাকিনীতে হবো ফল্গুধারা।
পতঙ্গের মতো পুড়ে মরবো আবির-রাঙ্গা গোধূলিতে,
সারঙ্গীতে ধ্রুপদী সুরের মূর্ছনা বোহেমিয়ান মনকে
উত্তাল-পাথাল করবে।
ঝুমকোজবা হয়ে দোল খাব ঘাসফড়িং পাঁজাকোলা করে।
বাগানবিলাসে ভরে উঠবে মনের বিবর্ণ ব্যালকনি।
শতবর্ষী গাছটিতে মহাকালের সাক্ষ্য হয়ে গেঁথে রবো
উন্মুক্ত নীলিমা ছোঁয়ার দুরাশায়।

পেঁজা তুলোর মেঘ হয়ে আঁজলা ভরা জলাধার আগলে রাখবো সযতনে মাতৃস্বরূপ।
বুনোহাঁস হয়ে জলের সন্তরণে জলকেলিতে রবো দিনমান নিমজ্জিত।
ঊষা-লগ্নে নীহার-স্নাত দূর্বারাশি হবো মেঠোপথের সমান্তরালে।
শ্রাবণের বর্ষণধারা হয়ে ঝরবো নিয়মানুবর্তিতাকে অঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে।
রাধা হয়ে গোপিনী সনে হবো মাতোয়ারা শ্যামের মুরলী তানে।
ফুলবাগিচায় প্রজাপতির পাখায় রঙের কারুকার্য হবো।