যে স্রোত সময়ের অপেক্ষা করে না,
সে স্রোতের কলকল ধ্বনিতরঙ্গে বিলীয়মান ঈপ্সিত তারার ঢেউ
যে কণ্ঠ মৃত্যুর আর্তি শোনায় না,
সে কণ্ঠ জীবনের তরে নৈবেদ্য হোক
অনন্ত শ্রাবণে।
যে বৃক্ষ হৃদয়ের ঘরে তালা দিয়ে বসে
বন্ধ্যা স্বপন আঁকে,
সে বৃক্ষের বিক্ষেপ হরে চন্দ্রাবতী জ্যোছনা।
যে অনাদি শঙ্খনাদ অগ্রাহ্য করে শিশিরের ঝরাফুল
সে উচ্ছ্বাস ভাবাবিষ্ট করে জলের আলোরণ।
যে শরবিঘাত অন্তে আনে অস্ফুট অনাদর
সে জলাঙ্গী বিশুষ্ক হয় শবদাহ জ্বালা ধরে।
তোমার মলিন পদ্মশ্রী ততোধিক অনলে জ্বলে
যতটা জ্বলে ঊষর বুকে অন্ধ শিশু করুণ স্তনতলে।
-সুপান্থ