হাজার বছর পূর্বের রচিত কবিতা অনুবাদ

~রুমা চৌধুরী

ঐ সুদূর পাহাড় চূড়ায়
এক শবরী দুহিতা
শিখী পুচ্ছে সাজায়ে শির
পড়েছে গুঞ্জ মালিকা।।



ফুলের বনে মুকুলিত দলে

রূপ গরবিনী সৌরভী

ভ্রমড়া ভ্রমড়ী গুঞ্জরিছে জোড়ে

যেন দ্রিমিদ্রিমি দুন্দুভি।।



কিশোরী কন্যা রূপের বন্যা
ঐ শবর দুহিতা
পূর্ণ চাঁদের গরিমা নিয়ে
আজ সে চন্দ্রকান্তা।।

মেঘদূতের বার্তা পেয়ে
আসিল শবরকুমার।
আপন প্রেমে ভাসায়ে তারে
করিল গ্রহণ দার।।

গাহিছে কোকিল ফুটিতেছে ফুল
জ্যোৎনাবৃত শয্যা,
চন্দ্রমা আজ মেঘের আঁড়ালে
হয়েছে গুণ্ঠিতা॥
------------------------
---------------------------
হাজার বছর পূর্বের রচিত কবিতা
"উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরি।
ণিঅ ঘরণী ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে গঅণত লাগেলি ডালী।
একেলী সবরী এ বণ হিণ্ডই কর্ণ কুণ্ডলবজ্রধারী।।"

( অর্থাৎ- উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা বাস করে। তার মাথায় ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জামালিকা। নানা তরু মুকুলিত হলো। তাদের শাখা-প্রশাখা আকাশে বিস্তৃত হলো। শবর-শবরীর প্রেমে পাগল হলো। কামনার রঙে তাদের হৃদয় রঙিন ও উদ্দাম। শয্যা পাতা হলো। শবর-শবরী প্রেমাবেশে রাত্রিযাপন করলো।)