যে আমায় চোখ রাঙিয়ে এইমাত্র চলে গেল গট্গটিয়ে
সে আমায় দিয়ে গেল একটুকরো সুখ
শরীরে নতুন করে রক্ত চলাচল টের পাই
ইন্দ্রীয় সুতীক্ষ্ম হয়ে ওঠে
মৃদু হেসে মনে মনে
আমি তার নাম কেটে দিই।
সে আর কোথাও নেই,
হিম অন্ধকার এক গভীর বরফঘরে
নির্বাসিত, আহা সে জানে না!
সে তার জুতোর শব্দে মুগ্ধ ছিল
প্যান্টের পকেটে হাত
স্মৃতিহারা বিভ্রান্ত মানুষ।
দাবা খেলুড়ের মতো আমি তাকে
এক ঘরে থেকে তুলে
অন্য ঘরে বসিয়ে চুপ করে চেয়ে থাকি
উপভোগ করি তার ছটফটানি!
জালের ফুটোর মধ্যে নাক দিয়ে
যেমন বিষন্ন থাকে জেব্রা
শুকনো নদীর পাশে যে-রকম দুঃখী ঘাটোয়াল
আমার হঠাৎ খুব মায়া হয়
আমি তার রমণীকে নরম সান্ত্বনাবাক্য বলি
দু‘হাত ছড়িয়ে ফের
তছনছ করে দিই খেলা।
##
কাব্যগ্রন্থ : জাগরণ হেমবর্ণ