এই তো সেদিন অশ্বে চড়ে উচিয়েছিলে তর্জনী,
রক্ত তখন তপ্ত সকল আজাদ হিন্দ বাহিনীর।
দেশের বাইরে দশের জন্যে আত্মাহুতির কল্পনায়,
দিল্লি চল স্লোগান দিলে পরাধীনতার যন্ত্রণায়।
দেশের সেপাই উঠল রুখে, পামর পেলো জবাব ন্যায্য।
থরথরিয়ে উঠল কেঁপে উত্পীড়কের সাম্রাজ্য।
দিশেহারা ওই চাতকের মত দিগন্তে চেয়ে থাকা পল্লীবাসী,
ওই বুঝি সুভাষ এলো, বিসর্জনে যাক কলসি।
তৃষ্ণার্ত স্বদেশ প্রেমি হয়ে সবে অপেক্ষারত,
গুছিয়ে নিলো গোলা, বারুদ, সড়কি-লাঠি আছে যত।
উড়োচিঠির কম্পিত কন্ঠধ্বনি অশুভ এক বার্তা শোনায়,
হিরোশিমা নাগাসাকি নাকি বিধ্বস্ত মারণ বোমায়।
সহর জুরে বারুদ গন্ধ জাপান ভূমি ঝলসে গেল,
আজাদ হিন্দ বাহিনী সব হঠতে পিছু বাদ্ধ্য হল।
ঠিক তখনই বেতার যন্ত্র হঠাৎই সে উঠলো বলে,
তুমি নাকি নেই! তারার দেশে গেছো চলে?