লিখতে বসেছি, কিন্তু লেখনী অনঢ়,
লেখনীর বোধে সময় হয়নি লিখার!
কাগজ আর কোন শব্দ গ্রহন করছে না,
কারন, সময় এখন স্তব্ধতার ভাষা শেখার!
শব্দসমূহ সহসা দূরে সরে রয়, চিন্তাক্লিষ্ট মন;
লিখনিবিদ্যা রপ্তকল্পে অসময়ে করি যে পণ!
অসময়ে ভেবেছি- যাবো বহুদূর, কিন্তু সময় পথ দেখালোনা!
পথের গতিপথে থমকে আছি, চলার সময় হলো না!
সৌর কক্ষপথ থেমে আছে মহাজাগতিক শূন্যতায়;
নীহারিকার চিত্রপট থেমে গেছে পৃথিবীর অক্ষরেখায়!
এখানে সময়ের খাঁচায় বন্দী মহাশূণ্যের ছবি;
কবি হতে চেয়েও আজ আমি অসময়ের কবি!
সময়ের কাছে আবদ্ধ প্রাণ, বৃক্ষরাজী, জীবাশ্ম আর ইতিহাস;
মেঘের চলাচল, বৃষ্টি, স্রোত আর ছায়াপথের আবাস।
তোমার কাছে ভালোবাসার খবর পৌঁছালো অনেক পরে!
যখন তুমি চলে গেছো সময়ের অনেক দূরে সরে!
বাড়ীর পাশে জলাশয়ের বয়স হয়েছে সহস্র বছর;
বাঁধা পরে আছে সময়ের হাতে, বাড়েনি নহর!
সময়ের কাঠগড়ায় বন্দী আজ মুহূর্তের সমাহার,
মুহূর্তগুলো সময়ের অন্ধকূপে হারিয়ে যাচ্ছে বারবার!
পৃথিবী আর দ্বিতীয় পথের সন্ধানে চলবে না!
স্তব্ধ হলে পরে, সময় আর কিছুই বলবে না!
___________ সুমন শামসুদ্দিন/ জুলাই ২০২২