সীমান্তের হুঙ্কার
  সুমন প্রধান
এই জমিন, এই আকাশ, এই বাতাস,
আমার পূর্বপুরুষের রক্তে লেখা ইতিহাস।
চোখে চোখ রেখে কথা হবে আজ,
আর নয় ভীরুতা, আর নয় লজ্জার পাঁজ।

তলোয়ারের ঝলক, বন্দুকের আওয়াজ,
হাঁক ছুঁড়ে বলে, “আমার দেশ, আমার সাজ!”
গোলামির শেকল ভাঙার দিন এসেছে,
বুকে আগুন জ্বালিয়ে শত্রুকে ভয় দেখিয়েছি।

তুমি জানো না, এ মাটি কেমন,
এখানে প্রতিটি ধূলিকণা রক্তে ভেজা তেমন।
তুমি জানো না, এ নদীর স্রোত,
যে স্রোতে বয়ে যায় বীরের শপথ।

তাই বলে দিই আজ স্পষ্ট কণ্ঠে,
সীমানায় জ্বলবে বিপ্লবের প্রদীপ প্রতিটি রাতে।
আমাদের ইতিহাস, আমাদের গৌরব,
যুদ্ধের মঞ্চে উঠবে বিজয়ের চিৎকার।

তোমার চোখে চোখ রাখবো চিরকাল,
আর নয় গোলামি, আর নয় পরাধীনতার জাল।
তোমার রক্তচক্ষু ছাপিয়ে জ্বলবে আলো,
আমার দেশ, আমার মাটি, এটাই আমার অঙ্গীকার, বাংলার হুশিয়ারি!
ভারত, শোনো বাংলার বজ্রকণ্ঠ,
আমাদের রক্তে লেখা ইতিহাসের অনন্ত।
এক ইঞ্চি মাটি যদি স্পর্শ করো ভুলে,
তাহলে দিল্লির মিনার ভেঙে যাবে ধুলোয় তুলে।

তোমার মসনদ কাঁপবে, তোমার মানচিত্র ছিঁড়বে,
বাঙালির হুঙ্কারে সম্রাজ্যের পতাকা পুড়বে।
দেখেছো তুমি, আমরা অস্ত্র হাতে বীর,
অস্ত্র ছাড়া মনেই রেখো, আমরা আরও অদম্য, অজির।

আমরা একজোট, আমরা এক প্রাণ,
দেশের জন্য বুক পেতে দাঁড়ায় প্রতিটি অজানা মুখের গান।
আমাদের শপথ, আমাদের দৃঢ়তা,
দেশের সীমানা রক্ষায় আমরা কঠিন বর্বরতা।

আমাদের হাহাকার নয়, জেগেছে হুঙ্কার,
শত্রুর চোখে চোখ রেখে আমরা নেবো প্রতিশোধের জ্বালাময় দ্বার।
ভুলে যেও না ভারত,
বাংলার প্রতিটি ধূলিকণা সেনা,
আমাদের ঘামে মাটি সিক্ত, আমাদের রক্তে আঁকা আঁচড়ের সোনা।

আমরা বিদ্রোহী, আমরা বিপ্লবী,
আমাদের ধমনীতে জ্বলে স্বাধীনতার অগ্নি।
তোমার শাসনের মোহ যদি চায় বাংলার দিকে,
তোমার বিভক্তি হবে, ইতিহাস লিখবে রক্তের ইঙ্গিতে।

এই বাংলার মাটি রক্ষা আমাদের প্রাণের দাম,
এই বাংলার প্রতিটি মানুষ দেশপ্রেমের অবিচল বাণ।
তাই বলি, সাবধান ভারত, সীমা ছাড়াবে না,
নইলে বঙ্গের শপথে জ্বলবে তোমার প্রতিটি কোণ প্রাচীর প্রাচীনা।