বিপ্লবের শপথ
সুমন প্রধান
আমি অন্ধকারে প্রদীপের শিখা,
আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাজাই প্রতিরোধের তবলা,
আমার কণ্ঠে জাগে বজ্রের আওয়াজ,
আমার শিরায় বইছে বিপ্লবী তক বক করা রক্তিম স্রোত।
আমি থামি না, আমি রুখি না,
আমার পথ ছিন্ন করে আগামীর রথ।
আমি অন্যায় মানি না,
আমি চুপ থাকা জাতি না।
আমি দাসত্ব বুঝিনা,
আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বীর বাঙালী,
আমার স্বাধীন চেতনা, আমার অগ্নিপথ।
জেগে ওঠো নবীন, শোনো সবার ক্রন্দন,
শোনো দুর্বলদের আর্তনাদ, শোষণের রোদন।
তাদের কান্না যেন হয় এক মহা সুর,
যা কাঁপিয়ে দেবে রাজপ্রাসাদ, আইন ও শৃঙ্খল।
আমি সেই কণ্ঠ, আমি সেই তাণ্ডব,
যার গর্জনে ভেঙে যায় শাসকের প্রাসাদ,
যার ধ্বনিতে চিরকাল চূর্ণ হয় শৃঙ্খল।
আমি কৃষাণের ঘাম, শ্রমিকের হাত,
আমি নিপীড়িতের অন্তরের অশ্রুপাত।
আমার চিৎকারে উঠে দাঁড়াবে এক জাতি,
যারা ভাঙবে শোষকের রচিত মাটি।
আমার হৃদয় জ্বলে প্রলয়ের আগুনে,
আমার স্বপ্ন গড়ে একটি নবীন ভুবনে,
যেখানে পুঞ্জীভূত হবে সব বেদনা,
যেখানে দেখা হবে মুক্তির নতুন সূর্য।
আমি ধ্বংসের স্রোত, আমি সৃষ্টির বীজ,
আমি বিচারহীনতার বিরুদ্ধে এক তীক্ষ্ণ খঞ্জর।
যেখানে অন্যায়, সেখানে আমার ধ্বনি,
যেখানে অবিচার, সেখানে আমার গতি।
আমি শোষিতের শপথ, নিপীড়িতের শক্তি,
আমার ললাটে লেখা বিজয়ের মুক্তি,
যার আলোয় শোষকের আকাশ চূর্ণিত হয়ে যাবে।
জাগো, তোমরা যারা ঘুমিয়ে আছো,
তোমাদের চোখে দেখাও ভবিষ্যতের আলো।
তোমাদের রক্তে ভরা বিপ্লবের শপথ,
একদিন নতুন সূর্য উদিত হবেই।
আমি থামি না, আমি রুখি না,
আমার পথ ছিন্ন করে আগামীর রথ।