শিরোনামে :- শরৎ
কলমে:- মো : সুমন মিয়া
তারিখ:- ১৪ /০৯ /২০২৪ ইং
বর্ষার অতিবর্ষণ ও অবিরাম মেঘের ক্লান্তি শেষে
প্রকৃতির কোমল,শান্ত-স্নিগ্ধ রুপ খোঁজে তার রাণীকে।
আকাশের বুকে ভেসে বেড়ায় সাদা-শুভ্র মেঘমালা
গাছের ডগায় রোদ আর ছায়ার মাঝে লুকোচুরি খেলা।
মাঠে মাঠে সবুজ ধানের চারা খুশিতে নেচে ওঠে
ভোরে সূর্যের কিরণ হয় উজ্জ্বল আর বাতাস অমলিন।
ভাদ্রের ভোরে প্রখর সূর্যের মিষ্টি আলোর স্পর্শে
প্রকৃতি কানে কানে শুনাচ্ছে শরতের আগমনী বার্তা।
শরতের আগমনে বাংলার প্রকৃতি আজ নির্মল
শরৎ মানেই গাঢ় নীলাকাশে শুভ্র মেঘের আনাগোনা।
শরৎ মানেই শোভা ছড়ানো ফুলের বাগান আর
কৃষকের ফসলি জমিতে আলোকিত বাংলার মাঠ-ঘাট।
সোনা ঝরা রোদে,নদীর পাড়ে মৃদু বাতাসে দোলে
সাদা সাদা কাশফুল আর নদীর জলে পদ্মের সমাহার।
শরৎকালের রাতে জ্যোৎস্নার ঝলমলে আলোর
অপরূপ রূপ, আকাশকে জোছনায় ভরিয়ে দেয়
এ যেন মেঘহীন আকাশে জোৎস্নার ফুল ঝুড়ি।
পূর্ণিমার চাঁদের আলোর শুভ্রতায় যেন আকাশ থেকে
রূপকথার পরীরা ডানা মেলে মাটিতে নেমে আসে।
শরতের আকাশের ছেঁড়া ছেঁড়া সাদা মেঘের মাঝে
শৈশবের স্মৃতিগুলো আজও স্বপ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ায়
লাটাই বাঁধা সুতোয় কাগজের তৈরি ঘুড়ি উড়ানো।
শরৎ মানে ভোরবেলা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের উপর
চাদরের মতো বিছানো শিউলি ফুলের মেশানো ঘ্রাণ।
শরৎ মানে শিউলি ফুলের গন্ধ ভেসে বেড়ানো দিন।
শরৎ মানে মাঠজুড়ে থাকা সবুজ ধানের সমারোহ।
শরৎ মানে কৃষকেরা নবান্নের আশায় দিন গোনা।
শরৎ মানে প্রকৃতিতে নিয়ে আসা শুভ্রতার প্রতীক।