হয়তো জীবন এবং জাতি সবই দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে,
চলতে শুরু করবে বাস, ট্রাক, ট্রেন এমনকি মেট্র,
অমানিশা কাটিয়ে উঠবে অর্থনীতি,
চলবে পাঠ্যক্রম, অফিস, আদালত।

কিন্তু আদৌ কি লাল হয়ে ফোঁটা কৃষ্ণচুড়াটা সবুজ হবে?
রাজপথ কি ফিরে পাবে চিরচেনা কালচে রঙ?
যে মায়ের নাড়ি ছিড়ে গাথা হলো রক্তজবার মালা!
যে বাবার হাড়ভাঙ্গা ফসল লুটিয়ে পড়লো হানাদার ঝড়ে!
যে বোনের একমাত্র খুনশুটি স্তব্ধতায় ঢাকা পড়লো!
যে ভাইয়ের ভরসার হাত সরে গেলো কাধ থেকে!
তাদের ক্ষরণ কি বন্ধ করতে পারবে রিফুজি লতা?

হয়তো তোমাদের রাষ্ট্রীয় কোনো নথীতে জায়গা পাবেনা আমার কোন ভাই উজাড় করলো অমূল্য প্রান।
কোন ভাই বলি দিলো চোখ,
কোন ভাই বরণ করলো পঙ্গুত্ব।
কিন্তু এ হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নাম, দিন এবং সময়।
সঠিক সময়ে সব কটা প্রাণ, সব ক ফোঁটা রক্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব নেয়া হবে।
তোমাদের আমলনামা নিশ্চই কষ্টি পাথরে ঘসা হবে,
সব কটা বুলেটের হিসাব নেয়া হবে,
সবকটা লাঠির গায়ে খোদাই করা হবে তোমাদের দেয়া প্রতিটা আঘাত।
সবকটা টিয়ারশেলের সাথে তোমাদের ঢোকানো হবে বদ্ধ ঘরে।
সব কটা সাউন্ড গ্রেনেড তোমাদের কানে রেখে ফোটানো হবে
সব ফোঁটা রক্তের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব নেয়া হবে।