স্বাধীনতা তুমি কোথায় আজিকে, হারালে কোথায় বলো?
স্বাধীনতা তুমি আমায় এড়িয়ে কোন পথে আজ চলো?
কি কারনে তবে ৩০লক্ষ জীবনের বলিদান?
কি কারনে তবে মায়েরা আমার হারিয়েছিলেন সম্মান?

আজ এ বাংলায়- স্বাধীনতার ৫৩ বছর বাদে,
বীর সে ছেলের লাশ বুকে নিয়ে মা কেন আজ কাঁদে?
ছেলেরা কেন চাইতে পারে না প্রাপ্য অধিকার?
অধিকারের কথা মুখে আনলেই কেন সে রাজাকার?

দেশটা কি তার বাবার?

রানী মার কথা শুনলে তুমি দেশের সূর্য ছেলে,
সোনা-দানা-ধন সবই যে তোমার পায়ে দেয়া হবে ঢেলে।
আলাদিনের জ্বীন এনে দেবে যখন যা কিছু চাইবে,
হাজার কোটি ঋণ নিয়ে তুমি বিদেশ পালিয়ে যাইবে।
পাবে কে তোমারে মাথায় যদি হাত রাখে রানী মা!
হাজার লাশের রক্ত গিলে বলবে শুধু 'আমি না'।

রানী মায়ের মত বিরোধী- বলতে যেওনা ভুলে,
নইলে তোমার জিভ খানি ভাই টেনে নেয়া হবে খুলে।
রাজাকার তুমি হবে তখনি যুদ্ধ নাইবা দেখলে,
কলমের নিব ভেঙ্গে ফেলা হবে তার বিরুদ্ধে লিখলে।

সে তো তাহার বাপের রাজ্যে যোগ্য উত্তরাধিকার,
যা খুশি সে করবে আজিকে- তারই একার অধিকার।

রাক্ষসীনি-
কদিন আর খাবি লুটেপুটে এই দেশ?
ছাত্ররা যেথা রক্ত দিয়েছে, দেখে নেবে এর শেষ।
ছাত্রলীগ আর পুলিশ লীগকে জনতা দেবে না ছাড়।
ভেঙ্গে সে বৃক্ষ (গদি) পড়বেই দ্রুত, বেড়ে গেছে অতি বাড়।
আমার ভাইয়ের রক্তের ঋণ যাবেনা জানিও বৃথা,
আজ না হোক কালকে তোমায় দেখে নেবে জাতি- ভ্রাতা।