আজকাল তোমার মুখের হাসিটাও আমার বড্ড মেকিমেকি লাগে। তুমি সহ আমার সব বান্ধবদের মনেহয় আনাড়ি অভিনেতা অথচ তুমি কখনো প্রসূন থিয়েটারে অভিনয় শিখতে যাওনি। আমিও আজকাল একপ্রকার অনিচ্ছা নিয়েই হেসে হেসে তোমাদের সাথে কথা বলি। বিশ্বাস কর, আমার এখন প্রাণ খুলে কথাটাও বলতে ইচ্ছে করেনা। যতটুকু বলি তাতে মনেহয়, কেউ একজন আমার গলায় পা দিয়ে ঠেসে রাখে। এমনটা অবশ্য হবারই কথা। আমার ডোপামিনের শিশিটা অনেক আগেই খালি হয়ে গেছে। খুব অল্পতেই রগ চটে যাওয়ার অভ্যেস টা অনেক পুরোনো। কিন্তু আজকাল রাগ দেখানোটাও অহেতুক মনে হয়। ওইযে সেদিন তোমার সাথে পলাশিতে হেসে কুটি কুটি হলাম, বিশ্বাস কর তার এক বিন্দুও সত্য ছিলনা। সাইকেল নিয়ে শত শত মাইল দূরে চলে যাওয়াটা আমার সৌখিনতা নয় বরং, কেবল ভাল থাকার বাহানা। জীবন কাটাই এখন দলছুট গো-শাবকের নিয়মে। এতোকিছুর পরেও খারাপ লাগাটা কিন্তু আমায় একদমই ছুতে পারেনা। আমায় তুমি 'পাথর' নামেই ডাকতে পারো। তবে এতকিছুর মাঝে একটা সত্য আছে- তোমার চীর হাস্যজ্বল প্রেমিক টা আর পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ নেই। জানো রাইসা, আমার সব সুখ না চুরি হয়ে গেছে! যেমন করে চুরি হয়ে গেছে শরতের নীল আকাশ আর মেহেগুনির ডালে বাসা বাধা শালিকের ছোট্ট শিশু ছানাটা।
কবিতাটি ১৫৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২৯/০৬/২০২৩, ১০:২০ মি: