শহরের পাশে সবুজ মাঠে
দূরে দেখা যায় লাল ছাদভরা,
অট্টালিকাটি নীরব দাঁড়ায়,
ঢেকে রাখে সব ব্যস্ততা ভরা।
এইখানে বসে দুইটি বন্ধু,
ঘাসের বুকে দেয় স্বপ্ন লেখা,
হালকা হাওয়ায় কাঁপে হৃদয়,
সন্ধ্যা নামে এক নিরব দেখা।
কে জানে কী ভাব তাদের চোখে,
সময় থেমে যায় যেন হঠাৎ,
পিছনে তারা ফিরেও চায় না,
চলে ভবিষ্যতের দিকে রথ।
কাঁধে কাঁধ রেখে, চুপে চুপে,
চলে জীবন দু’জনার পথে,
সবুজ মাঠে বন্ধুত্ব বাঁচে—
নগরেতে শব্দ নেই এ তে।
ব্যস্ত শহর রেখেছে পিছু,
ঘাসে বসে শান্তির গল্প,
নরম বুকের সবুজ পরশ,
ভেজা চোখে রচিত একল্প।
সময় চলে নদীর ধারা,
ফিরে আসে না ডাকলে কেউ,
যে বন্ধু আজ পাশে বসে,
কাল সে হারায় জীবনের ঢেউ।
নম্বর বদলায়, শহর-ঠিকানা,
রয়ে যায় এক বিকেলের ছায়া,
দুইজন বসে এক ঘাস জানালায়,
স্মৃতির মুখে নাম লেখায়।
ডুবে গিয়ে ভবিষ্যতের মাঝে,
ভুলে যাই যে মুখের নাম,
হঠাৎ আলো বিকেলের রঙে,
ভেসে ওঠে এক সুখের আকাঙ্ক্ষা।
একজন ছিল ক্যামেরা হাতে,
ধরে রাখত হাসির ছবি,
আমরা শুধু ব্যস্ত হই যবে,
সে আঁকত চুপে স্মৃতির রবি।
চোখে ছিল ঢেকে রাখা কষ্ট,
কেউ বুঝেনি সে ভেতর কান্না,
আমরা ছিলাম উল্লাসে ভরা,
সে ছিল যেন ছায়ার বর্ণনা।
দূরে থাকি যত শহর-গ্রামে,
সূর্য নামে ছাদের কোণে,
বন্ধুত্বের অমল নামটি
জেগে থাকে মনের তলে।
সে ক্যামেরায় ধরে রাখে কাল,
আমি লিখি কবিতার রথে,
দুজন মিলে গড়ি এক সংগীত—
বন্ধুত্বের চিরন্তন পথে।