তারপর সন্ধ্যা নামে।
অফিসফেরত শ্রান্ত যুবককে
নিশাচর বিস্ময়ে দেখতে থাকে পশ্চিমপ্রান্তের
নিথর বিল্ডিংগুলো –
যাদের প্রাণ নেই, আছে শুধু সবল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
তারা আমাদের প্রতি পাড়ার
পোড়ো বাড়ির পূর্বপুরুষ যেন,
হয়তো আবহমান কাল ধরে পড়ে আছে,
ষোল বছরের কিশোরীর কালো চোখের মতো,
নারীত্ব আর আশৈশব বিস্ময়ের মাঝে।
তারপর ভোর হয়।
গভীর পুকুরের উপর
গোল আকাশে উড়তে থাকা
মাছরাঙ্গার হৃদয় হঠাৎ কেঁদে ওঠে।
হয়তো আগেও কেঁদেছিলো কোনোদিন,
অথবা প্রতিদিন,
অথবা যেদিন প্রথম
কালো মাছটা
অন্য এক কুচো মাছের রক্ত খেয়ে বেঁচেছিল।
সময় এঞ্জিনের
বয়লারের আগুনে
একদিন সৃষ্টি এক আশ্চর্য জীবকে এনেছিল।
তারা জিজ্ঞাসাবশে এসেছে পৃথিবীতে
ক্লান্ত হবার থেকে নিয়েছে অবসর।
সময়ের চাকা এগিয়ে চলেছে নিজের মতো।
হৃদয় হয়েছে তার মাছরাঙ্গার মতো,
ষোল বছরের কিশোরীর মতো দৃষ্টি,
মাছের মতো রক্তে
নিথর বিল্ডিংয়ে জমে থাকা প্রয়োজনীয় অবিশ্বাস।।