তখন শ্রাবণের দুপুর রোদে
সমস্ত বিশ্ব ক্লান্ত ছিল;
ক্লান্ত ছিল শহর,
বহুদিন ধরে বহু ঝড়জল সয়ে ক্লান্ত ছিল
স্কুলচত্ত্বরের সেই বৃদ্ধ বট-
অনন্ত স্তব্ধতাতেও বিস্মিত হয় না সে!
সেই শ্রাবণের দুপুরে
যখন জীবন দাঁড়িয়ে ছিল শান্ত যন্ত্রণা সয়ে,
তখন এক চলমান পথে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম
বুড়ো শ্রীনাথ নন্দীকে,
তার চেয়েও বুড়ো পথকে একলা করে দিয়ে হেঁটে যেতে।
বুড়ো শ্রীনাথ নন্দী
আমার অনুভূতির কফিনে জাগিয়েছিল এক অবসন্ন বিস্ময়-
ঠিক যেমনভাবে এক শ্রাবণের দুপুরে বৃদ্ধ বটের শিয়রে
জেগেছিল গ্রীস্মের রোদ্দুর।